এই দেশে স্ত্রীকে ভাড়া দেয় স্বামীরা!

Odd বাংলা ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র মহাদেশ আফ্রিকা। চির পরিচিত দারিদ্রতা এবার কেড়ে নিচ্ছে আফ্রিকানদের নিজের ঘরের সঙ্গীকে। কেনিয়ার উপকূলীয় শহরগুলোতে দারিদ্রতার কারণে স্বামীরা তার স্ত্রীকে ভাড়া দিচ্ছে অন্যের যৌন সঙ্গী হিসেবে।

আলজাজিরার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কেনিয়ার উপকূলীয় শহরগুলোতে এমন ঘটনা নতুন নয়। সেখানে স্বামীরা তাদের স্ত্রীদের পরিচয় গোপন রেখে ইউরোপের ধনী পর্যটকদের কাছে পতিতা হিসেবে পাঠায়। পর্যটকরা যখন সমুদ্রের সৈকতে পতিতার সন্ধান করে তখন তাদের কাছে নিজেদের স্ত্রীকে পাঠায় সেখানে কাজ করা পুরুষরা।

কেনিয়ার কাউলে কাউন্টি এলাকায় বসবাস করা রামাদান ও জেনেট ওয়াম্বুই হচ্ছেন এমনই এক দম্পতি। তাদের বিশ বছরের সংসার। ঘরে আছে তিন সন্তান। অথচ দারিদ্রতা তাদের দুজনকে বাধ্য করেছে এই অন্ধকার রাজ্যে প্রবেশ করতে।

রামাদান কাজ করে পুরুষ যৌনকর্মী হিসাবে। স্ত্রী জেনেট ওয়াম্বুইর সঙ্গে তার এক সপ্তাহ পরপর দেখা হয়। তারা কয়েকদিনের জন্য এই কাজে বেড়িয়ে পড়েন। জেনেট ওয়াম্বুই দুই রাত আগেই দশদিন বাইরে কাটিয়ে ঘরে ফিরেছে। এই দশদিন কেটেছে তার একজন জার্মান দর্শনার্থীর সঙ্গে একটি বিলাস বহুল কটেজে।

ওয়াম্বুই আলজাজিরাকে জানায়, ‘আমাদের জীবন খুব কঠিন ছিল। আমার স্বামীর রোজগারের ঠিক-ঠিকানা ছিল না। সে যখন আমাকে এই পেশায় আসতে বলে, তখন আমার কোনো উপায় ছিল না।’

রামাদান বলেন, ‘ঘরে নিজের বউ থাকতে আমি আরেক মহিলাকে বিত্তশালী বানাতে যাব কেন? এটা আমাদের জন্য নিজের খরচ যোগানোর জন্য কিছু টাকার ব্যবস্থা করার সুযোগ।’

তারা এখন তিন বেলার খাওয়া আর ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানোর খরচ যোগাতে পারে বলেও জানান।

দেশটির পর্যটন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় ২০১৬ সালে ১০ লাখেরও বেশি পর্যটক গিয়েছেন। তারা সেখানে ১০ কোটি ডলারেরও বেশি খরচ করেছেন। কেনিয়া পর্যটকদের অন্যতম প্রিয় গন্তব্য।

রামাদান ও ওয়াম্বিউর যেখানে থাকে, সেই কওয়াল সৈকতকে আফ্রিকার সপ্তম সেরা সমুদ্র সৈকত হিসেবে ঘোষণা করেছে ট্রিপ অ্যাডভাইজর ওয়েবসাইট। কিন্তু এসব স্বীকৃতিতে কেনিয়ার গ্রামবাসীদের কিছু যায় আসে না। তবে তাদের এই কাজে মারাত্মক ঝুঁকিও রয়েছে।

কেনিয়ার কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাদের উপকূলী এলাকায় ২০১৪ সালে এইডস রোগী ছিল ৩২৫ জন। কিন্তু ২০১৬ সালে এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫,৩৩৫ জন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.