ফুলকপি নিয়ে এইসমস্ত তথ্যগুলি কি আপনি জানতেন?
Odd বাংলা ডেস্ক: আমরা কম বেশি সকলেই ফুলকপি চিনি এবং খেয়েছি। কিন্তু আমরা অনেকেই এই সুস্বাস্থ্যকর সবজির স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে জানিনা আজ আমরা ফুলকপির অজানা স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে জানব
ফুলকপি একটি সুস্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিসমৃদ্ধ একটি সবজি।ফুলকপি কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অর্ধেক কমাতে হলে সপ্তাহে অন্তত ১কেজি ফুলকপি এবং সমজাতীয় শাকসবজি খেতে হবে। ফুলকপির কচি পাতা সপ্তাহে ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি অর্ধেক কমতে পারে।আরেক গবেষণায় দেখা যায়, ফুলকপির কচি পাতা থেকে সংগৃহীত আইসো থায়োসায়ানেটস নির্যাস প্রয়োগে বুকের টিউমারের আকার ও সংখ্যা কমে। এসব টিউমার ক্যানসারে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা ছিল। খাওয়ার উপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম ফুলকপির পাতায় ক্যালসিয়াম ৬২৬মিলিগ্রাম ও আয়রন ৪০ মিলিগ্রাম থাকে। ফুলকপির পাতায় প্রচুর ভিটামিন‘এ’,ক্যালসিয়াম, আয়রন আছে।এতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কালো কচুশাকের চেয়ে প্রায় দেড় গুণ বেশি,সবুজ কচুশাকের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ বেশি,লালশাকের চেয়ে দ্বিগুণ বেশি, কলমিশাকের চেয়ে ৬ গুণ বেশি, পুঁই ও পাটশাকের চেয়ে ৭ গুণ বেশি,পালং ও ডাঁটাশাকের চেয়ে ৮ গুণ বেশি,মুলাশাকের চেয়ে ২৫ গুণ বেশি,ও গরুর দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি।আসুন জেনে নেওয়া যাক ফুলকপি সম্পর্কে আরো কিছু অজানা তথ্য
১.ওজন কমাতে: এক কাপ সিদ্ধ ফুলকপিতে রয়েছে প্রায় ৫৫ গ্রাম ভিটামিন সি। যা ফ্যাট বার্ণ করতে বা চর্বি পোড়াতে এক কার্যকরী উপাদান। এছাড়াও রয়েছে ফোলেট যা ওজন কমাতে যাদুর মত কাজ করে।
২.হজমে সহায়তা: এক কাপ সিদ্ধ ফুলকপি থেকে ৩.৩৫ ডায়াটেরি ফাইবার পাওয়া যায়। যা হজমে সাহায্য করে থাকে।
৩.আলসার ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে: এতে রয়েছে গ্লুকোরাফিন, যা পাকস্থলির ঝিল্লি রক্ষা ছাড়াও পাকস্থলিতে হ্যালোব্যাকটার পাইলোরি নামক ব্যাকটেরিয়াকে জন্মাতে দেয়না। এছাড়াও পাকস্থলির আলসার ও ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়।
Post a Comment