বায়োমেট্রিক যাচাইয়ে আঙুলের ছাপের চেয়েও বেশি নিরাপদ পুরুষের গোপনাঙ্গ!

Odd বাংলা ডেস্ক: একুশ শতকে পরিচয়পত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি নথি বানাতে বা জমা দিতে গেলে, যেকোনও ব্যক্তিকে তাঁর বায়োমেট্রিক প্রমাণ দাখিল করতে হচ্ছে। পাসপোর্ট থেকে শুরু করে সিম কার্ড বা বিভিন্ন নথি তৈরির জন্যে এখন নেওয়া হয় আঙুলের ছাপ, চোখের মণির ছবি বা মুখের ছবি। অনলাইন ব্যাঙ্কিং ষেবা বা যেকোনও ইমেল হ্যাক হওয়া থেকে আটকাতে এই ধরনের বায়োমেট্রিক নমুনা নেওয়া এখন বাধ্যতামূলক হয়ে গেছে। কিন্তু বিভিন্ন পর্ন সাইটগুলো এখনও পুরনো পদ্ধতিতেই পাসওয়ার্ড দেওয়ার নিয়ম চালু রেখেছে। কিন্তু যাঁরা নিয়মিত পর্ন সাইটে যান, সেইসমস্ত ব্যবহারকারীদের তথ্য গোপন রাখাও অন্যান্য ষেবার মতোই জরুরি। তাই ক্যামসোডা নামের এক পর্ন সাইট তাদের ব্যবহারকারীদের তথ্য গোপন রাখার এক নয়া পন্থা চালু করেছে।

ক্যামসোডা নামের ওই পর্নসাইটের সদস্যদেরও এখন থেকে সাইটে ঢুকতে গেলে বায়োমেট্রিক যাচাই করতে হবে। কিন্তু সেখানে কোনও সংখ্যা বা অক্ষরের মিশ্রনে তৈরি পাসওয়ার্ড নয়, বায়োমেট্রিক যাচাই করা হবে পুরুষের গোপনাঙ্গের প্রিন্ট নিয়ে। ওই পর্নসাইটটি যাঁরা তৈরি করেছেন, তাঁরা জানিয়েছেন যেভাবে মুখের চেহারা, আঙুলের ছাপ বা চোখের মণি যাচাই করা হয় স্মার্টফোনে ঠিক তেমন ভাবেই এক্ষেত্রেও বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন হবে।

মূলত ওই পর্নসাইটের ব্যবহারকারীদের প্রথম অন্তর্ভূক্তির সময় তাদের গোপনাঙ্গের ছবি তুলে রাখা হবে। পরে সাইটে ঢুকতে গেলে, ক্যামসোডার অ্যাডমিন ব্যবহারকীর গোপনাঙ্গের ছবি নেবে। তারপর মেমরিতে থাকা ছবির সঙ্গে সেটা মিলিয়ে দেখা হবে। সবকিছু মিললে তবেই সাইটে ঢুকতে পারবেন ব্যবহারকারী।

এই বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন পদ্ধতি যদি চালু হয়, তাহলে যেখানে খুশি পর্ন সাইটগুলো খোলা যাবে না। এছাড়া যে ব্যবহারকারী তাঁকেই খুলতে হবে সাইটিট। অন্য কেউ খুলতে পারবেন না। এরফলে অপব্যবহার বন্ধ হবে।  ক্যামসোডার তরফে জানানো হয়েছে, তারা এখনও এই পদ্ধতি সম্পূর্ণভাবে চালু করেনি। এখনও চিন্তা-ভাবনা স্তরে রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.