কলকাতা পুরসভার ৫ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছেছে করোনা ভ্যাকসিন, এসব ওয়ার্ডে হবে টিকাকরণ

Odd বাংলা ডেস্ক: অবশেষে হাতের কাছে এসে পৌঁছাল করোনার টিকা। বাংলা প্রথম ধাপে ১০ লক্ষ কোভিশিল্ড ডোজ পেয়েছে, যা দেওয়া হবে রাজ্য়ের প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের। পাশাপাশি, গণটিকাকরণের জন্য় নির্দিষ্ট রোডম্য়াপ তৈরি করছে কলকাতা পুরসভাও। আপাতত প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের টিকা দেওয়ার জন্য় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তৈরি করা হয়েছে ৫টি সংরক্ষণাগার। একই সঙ্গে ৫টি টিকাকরণ কেন্দ্র থেকে প্রাথমিকভাবে টিকা দান করা হবে পুরসভার করোনা যোদ্ধাদের।

কলকাতা পুরসভায় স্বাস্থ্য়কর্মী, সাফাইকর্মী-সহ প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের সংখ্যাটা প্রায় ২১ হাজার। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য় বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য় অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, প্রথম ধাপে পুরস্বাস্থ্য়কর্মীদের করোনার টিকা দেওয়া হবে। তাঁর কথায়, কলকাতা পুরএলাকার করোনা যোদ্ধাদের জন্য় বরাদ্দ টিকাগুলি সংরক্ষণ করা হবে যথাক্রমে ১১, ১৪, ৫৫, ৭৭ ও ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষণাগারে এবং ১১, ৩১, ৫৭, ৮২, ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য়কেন্দ্রগুলিকেই প্রাথমিকভাবে টিকাকরণ কেন্দ্র হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। 

এই পাঁচটি কেন্দ্র থেকে পর্যায়ক্রমে টিকা দেওয়া হবে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের। এছাড়া রাজ্য়ের পাশাপাশি কলকাতাতেও ১৬ জানুয়ারি থেকেই শুরু হতে পারে টিকাকরণ প্রক্রিয়া, এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন অতীন ঘোষ। সেদিন প্রক্রিয়ার সূচনা করতে পারেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তবে সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রেখে পাঁচটি সেন্টার থেকে কয়েক হাজার স্বাস্থ্য়কর্মীদের টিকা দেওয়া এখন পুরকর্তৃপক্ষের কাছে বড় চ্য়ালেঞ্জ। 

তবে জানা গিয়েছে, সাধারণ মানুষের টিকাকরণের জন্য় পুরসভার চিকিৎসকদের প্রস্তুত করতে ইতিমধ্য়েই তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। টিকা নেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্য়াক্তিকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে স্বাস্থ্য়কেন্দ্রেরই একটি কক্ষে। নির্দিষ্ট সময় পর তাঁদের শারীরিক অবস্থা ঠিক থাকলে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে টিকা গ্রহণকারীর শারীরিক অবস্থার ওপর নিয়মিত নজরদারি চালানোর জন্য় তৈরি করা হয়েছে মনিটারিং সেল।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.