আজকের দিনেই ১৯৩৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের মাটি ফেটে বেরিয়ে এসেছিল আগুন


Odd বাংলা ডেস্ক: ১৯৩৪-এর ১৫ই জানুয়ারি ভরদুপুরে বিহার ও বাংলার কিছু অংশ কেঁপে উঠেছিল এক বিধ্বংসী ভূমিকম্পে। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৮.১। বিহারে  মারা গিয়েছিলেন 20,000 মানুষ।  সেই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নেপাল। নেপালের কাঠমান্ডু উপত্যকার তিনটি বড় শহর - কাঠমান্ডু, ভক্তপুর এবং পাটান- মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং প্রায় সমস্ত ভবন ধসে পরে। মাটিতে বড় ফাটল দেখা যায় এবং কাঠমান্ডুতে বেশ কয়েকটি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়; তবে নেপালের অভিভাবক দেবতা পশুপতিনাথের মন্দির ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পায়। বিহারের সীতামারীতে একটিও বাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল না। ভাগলপুর জেলায় অনেক ভবন ধসে যায়। পাটনায় কেবল একটি দুর্গ দাঁড়িয়ে ছিল এবং শহরটির অন্যান্য অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।


তবে সেবার সেই ভূমিকম্পে পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে ঘটে এক অদ্ভুত ঘটনা। একটা বিস্তীর্ণ এলাকার মাটি ফেটে যায়। বেরিয়ে আসে মাটির তল থেকে আগুন। ইতিহাসের পাতায় যা নথিভুক্ত থাকলেও সেই নিয়ে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারও আর কোনও উচ্চবাচ্চ করেনি। এর ফলে আসানসোলের একাধিক এলাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে মানুষ।  ১৫ই জানুয়ারি ঘটে যাওয়া সেই প্রকৃতির সেই বিধ্বংসী লীলায় আসানসোল ও ঝরিয়ার বহু আদিবাসি মাটির তলের সেই আগুন মারা যায়। কিন্তু তারও কোনও সঠিক হিসেব আজ পাওয়া যায় না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.