নিজের মেয়ের নগ্ন ছবি পাঠিয়ে কিশোরকে যৌন উত্তেজিত করত মা


Odd বাংলা ডেস্ক: আলাপ সোশ্যাল মিডিয়ায়। একে অপরকে চোখে দেখেনি কখনও। এক জন থাকে বিশ্বের এক প্রান্তে, অপর জন থাকে আর এক প্রান্তে। প্রযুক্তির উন্নয়নে ডিজিট্যাল মিডিয়ার দৌলতে এক ক্লিকেই হাতের মুঠোয় দুনিয়া। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতি সঙ্গে অবনতিও কিছু হয়েছে বটে। 'ডিজিট্যাল অপরাধ' বেড়েই চলেছে দিন দিন। এরকমই এক ঘটনা হতবাক করেছে সকলকে। 

১৬ বছর বয়সী কিশোরের পর্ণোগ্রাফি ভিডিও বানাতে উৎসাহ এবং তাকে আত্মহত্যায় প্রলুব্ধ করার অভিযোগ উঠেছে এক মহিলার বিরুদ্ধে। কেবল তাই নয়, নিজের মেয়ের নগ্ন ছবি পাঠিয়ে ওই কিশোরকে যৌন কাজকর্মে উৎসাহ দিত মহিলা। সোমবার, ১১ জানুয়ারি পেলসিলভ্যানিয়া আদালত তাকে ৩৫ বছরের জেল ঘোষণা করে। ৪৫ বছর বয়সী লিন্ডা পাওলিনি, একজন বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষ। মেয়ের সঙ্গে পেনসিলভ্যানিয়ায় একটি জায়গায় সে থাকত। কিছু দিন আগে ইনস্টাগ্রাম প্ল্যাটফর্মে ওই কিশোরের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল লিন্ডার। নিজের পরিচিতি গোপন রেখেছিল সে। 

উলটে নিজের মেয়ের ছবি দিয়ে কিশোরের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতায় লিন্ডা। তারপরেই ছেলেটিকে হস্তমৈথুনের ভিডিও এবং অশ্লীল ছবি পাঠাতে বাধ্য করে সে। শুধু তাই নয়, নিজের মেয়ের কিছু নগ্ন ছবিও লিন্ডা পাঠিয়েছিল ওই কিশোরকে। পুলিশ তদন্ত করে জানতে পেরেছে, উভয়ের মধ্যে বেশ কিছু মাস ধরে কথা-বার্তা চলছিল। প্রায় ৫০ হাজার মেসেজ আদান প্রদান করা হয়েছে। লিন্ডা ছেলেটিকে উস্কানিমূলক কিছু ছবি পাঠিয়েছিল। তারপরেই ওই কিশোর লিন্ডার প্রতি আরও আকৃষ্ট হয় পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে লিন্ডা ওই ছেলেটিকে ভিডিও কল করে কিন্তু নিজের মুখ দেখায়নি। তারপরে তাকে আত্মহত্যা করার জন্য প্ররোচিত করে। 

ছেলেটি সুইসাইড করার চেষ্টা করে সম্পূর্ণ বিষয়টি সকলের নজরে আসে। পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং অনলাইনে লিন্ডার কিছু প্রতিক্রিয়া দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। তারপরে জানা যায়, লিন্ডা শুধু ওই কিশোরের সঙ্গে এই ধরণের জঘন্য আচরণ করেনি, আরও দু’জন ছেলের সঙ্গে সে একই ধরণের ব্যবহার করেছিল। তাদেরও পর্ণোগ্রাফি ভিডিও বানাতে বাধ্য করেছিল সে। লিন্ডার এই ব্যবহার কোনও ভাবেই সুস্থ মানসিকতার পরিচয় নয়। তবে আদালতে পেশ করার পর লিন্ডা নিজের দোষ স্বীকার করেছে। ৩৫ বছরের কারাদন্ড সহ ১৫ হাজার ডলার জরিমানা হয়েছে তার।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.