হিমবাহ ভেঙে নয়, বরং আচমকা তুষারধসের কারণেই এই বিপর্যয়, দাবি উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর


Odd বাংলা ডেস্ক:
২০১৩ সালের স্মৃতি ফিরে এল উত্তরাখণ্ডে! জলের তোড়ে ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে তপোবন বাঁধ। প্রাথমিকভাবে সবাই যখন হিমবাহ ভেঙে এমন বিপত্তি ঘটেছে বলে আশঙ্কা করছিল, তখন, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী  ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়ত দাবি করলেন যে, হিমবাহ ভাঙার কারণে নয়, কয়েক লক্ষ টন তুষার পর্বতের ঢাল বেয়ে নেমে আসাতেই বিপত্তি ঘটেছে। সেইসঙ্গে তিনি জনগণের কাছে আবেদন করেছেন, এই ঘটনাকে যেন ‘উন্নয়নবিরোধী’র তকমা না দেওয়া হয়।

এদিন কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়ে, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ইসরো-র বিজ্ঞানী, সেনা আধিকারিক এবং আইটিবিপি-র আধিকারিকদের নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন। তিনি দাবি করেন, ইসরোর বিজ্ঞানীরা তাঁকে যে ছবি দেখিয়েছেন তাতে কোনও হিমবাহ দেখা যাচ্ছিল না। যেখান থেকে হিমবাহ ভাঙা শুরু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, সেখানে ফাঁকা পাহাড়ই দেখা দিয়েছে। তবে তিনি এও জানান, ওই ছবিতে পাহাড়ের মাথায় কিছু একটা লক্ষ্য করা গিয়েছে। সেগুলো জমে থাকা তুষার বলেই মনে করা হচ্ছে। পাহাড়ের ঢাল বেয়েই সেগুলো হুড়মুড়িয়ে নেমে আসায় হড়পা বানের সৃষ্টি হয় ঋষিগঙ্গা এবং ধৌলিগঙ্গায়।

গত কয়েক দিন ধরে ওই এলাকায় তুষারপাত হচ্ছিল। সেই তুষারই নেমে এসে এই বিপর্যয় ঘটিয়েছে বলে দাবি রাওয়তের। রবিবারের এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত শতাধিক নিখোঁজ। ২০ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেনা, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং আইটিবিপি-র জওয়ানরা একসঙ্গে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন।মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “বিজ্ঞানীদের মতে যেখানে এমন দুর্যোগ নেমে এসেছে রবিবার সেই এলাকা তুষারধস প্রবণ নয়। এবং প্রথামিক রিপোর্টে মনে করা হচ্ছে হিমবাহ ভাঙার কারণে এমন ঘটনা ঘটেনি। ন্যাড়া পাহাড়ের মাথায় কয়েক লক্ষ টন তুষার জমেছিল। সেগুলোই হঠাৎ নেমে এসেছে ঢাল বেয়ে।”

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.