শরীরে ৪৫৩ রিং গেঁথে গড়েছেন বিশ্বরেকর্ড

Odd বাংলা ডেস্ক: কথায় বলে, শখের তোলা আশি টাকা! আসলেও আমরা বুঝি তাই। সাধারণ মানুষদের স্বপ্ন আর শখ সবই হয়ে থাকে সাধারণ। আর অসাধারণ মানুষদের শখগুলোও যেন তাদের মতো। ঠিক যেমন- জার্মানির রলফ বুখলজ এক বিরল ব্যক্তিত্ব। তার সর্বাঙ্গে ট্যাটু, সারা শরীরে ৪৫৩টি পিয়ারসিং এবং সোনায় সোহাগা দু’খানা শিং! এই সব নিয়ে ২০১০ সালেই তিনি গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের খাতায় নিজের নাম তুলেছেন।

শিং? হ্যাঁ, আপনি ঠিক শুনেছেন। ছবিতে যেমন দেখছেন কপালে- ওটা শিংই। প্লাস্টিক সার্জারির চূড়ান্ত পরাকাষ্ঠা বলে যদি কিছু হয়ে থাকে, তা হলে এটা হচ্ছে সেটা। এত দিন দেখেছি বিভিন্ন সিনেমায় নায়ক-নায়কারা অভিনয় করার সময় তাদের চেহারা, তাদের চরিত্র পাল্টায়। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে তারা। তবে ৬১ বছরের রলফ কোনো তারকা নয়। ৪০ বছর বয়সে তিনি প্রথম ট্যাটু করেন।

আর তার পর থেকে বিগত ২১ বছরে ৫১৬ বার নিজের শরীর নিয়ে নানা পরীক্ষা করেছেন তিনি। এত কিছুর করার পরেও তার সাধ মেটেনি বলেই দাবি করেন রলফের। 

একটি টেলিকম সংস্থায় তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের কর্মচারী রলফ। তার ঠোঁটে, ভ্রূতে, নাকে এতগুলো পিয়ারসিং আছে যে আগের রলফ আর এই রলফ, যেন দু'জন আলাদা ব্যক্তি বলে মনে হয়। তবে রলফ বলেছেন তিনি অসংখ্য ট্যাটু, পিয়ারসিং আর মাথায় দুটো শিং করেছেন বলে কিন্তু তার ভিতরটা একটুও পাল্টায়নি।

তিনি সেই আগের রলফই আছেন। তবে বলুন দেখি, আপনার পরিচিত কেউ যদি আচমকা মাথায় এক জোড়া শিং নিয়ে আপনার সামনে উপস্থিত হন, তা হলে আপনার খুব একটা ভালো লাগবে? জনতার প্রতিক্রিয়ার এই সমস্যায় রলফকেও পড়তে হয় বইকি! ২০১৪ সালে একবার দুবাই বিমানবন্দর পৌঁছন রলফ, আর তখনই তার সাজ দেখে অনেকেই বিস্মিত হয়ে যান। তার সাজের জন্য তাকে হোটেলেও ঢুকতে দিতে নারাজ হন হোটেল কর্তৃপক্ষ।

তবে তাতে রলফ কিছু মনে করেননি। তিনি টাকার জোরে থাকার বন্দোবস্ত করে নিয়েছিলেন! এক লাখ ৩৭ হাজার রুপি অর্থাৎ বাংলার প্রায় এক লাখ ৫৯ হাজার টাকা খরচ করে একজোড়া শিং গজান। সেটা কি সবাই চাইলেও করতে পারেন? সম্প্রতি গিনেস বুক তাদের সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলে রলফের একটি ভিডিও শেয়ার করার পর আবার চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.