সারাদিনে অনেক বেশি কফি পান করছেন? ভালো না খারাপ জেনে নিন


Odd বাংলা ডেস্ক: সারা দিনের ক্লান্তি দূর করেত এক কাপ কফির তুলনা হয় না। এছাড়া অবসরে বইয়ের পাতা উল্টাতে উল্টাতে এক কাপ কফির জুড়ি মেলা ভার। কফি বিনে আছে এমন কিছু ফাইটোকেমিক্যাল, যা শরীরের প্রদাহ কমাতে পারে। হৃদরোগ থেকে শুরু করে আরও বিভিন্ন অসুখ থেকে মুক্তি দেয় কফি। তবে চিকিৎসকরা বলছেন অতিরিক্ত কোন কিছু ভালো না। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কফি আপনি প্রতিদিন খেতে পারবেন। তবে বেশি পরিমাণে কফি খেলে কী কী সমস্যা হতে পারে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

কফিতে অনেকের গ্যাসস্ট্রিক হয়, অনিদ্রার সমস্যা হয় আবার উদ্বেগ বাড়ে। এর মূলে আছে কফির অন্যতম উপাদান ক্যাফেইন। তার পরিমাণ যদি কোনওভাবে কমানো যায়, তাহলেই আর সমস্যা নেই। এবং সে উপায়ও আছে। বাজারে ক্যাফেইনবিহীন কফিও পাওয়া যায়। তার আগে জানা দরকার অতিরিক্ত কফি খাওয়ার ক্ষতিকর দিক।

কফির মধ্যে থাকা ক্যাফেইন আপনার এনার্জি লেভেল বাড়িয়ে দেয়। আর ঘুমের আগ দিয়ে কফি খেলে আপনি ইনসমনিয়ায় ভুগতে পারেন। তাই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কফি খাওয়া বন্ধ করতে হবে।

বদহজমের সম্ভাবনা: সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে কফি খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। আর বেশি পরিমাণে কফি খেলে বদহজম হতে পারে।

কোলস্টেরল বাড়ায়: অতিরিক্ত কফি পানে কোলস্টেরল বাড়ারও আশঙ্কা থাকে। এজন্য অবশ্যই বুঝে শুনে কফি খেতে হবে।

কিডনিতে প্রভাব: কফি খাওয়ার পরিমাণ বেশি হলে কিডনিতে এর প্রভাব পড়তে পারে। এতে কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ব্যাহত হতে পারে।

মিসক্যারেজের আশঙ্কা: আপনার যতই কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকে না কেন কনসিভ করার পর কফি পানে লাগাম টানতে হবে। কারণ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কফি পানে আপনার মিসক্যারেজের ঝুঁকিঅনেকটাই বেড়ে যায়।

হাইপারটেনশনের ঝুঁকি: আপনার হাইপারটেনশন অথবা হাই ব্লাড প্রেসার থাকতে পারে। যদিও সেগুলোর কোনও উপসর্গ আপনি দেখতে পাবেন না। কারণ কফি পান ছোট থেকে বড়- সকলের মধ্যেই হাইপারটেনশনের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.