ভারতের এই মন্দিরে প্রসাদ হিসাবে দেওয়া হয় চিকেন ও মটন বিরিয়ানি

Odd বাংলা ডেস্ক: বর্তমানে কর্মব্যাস্ত জীবনে মানুষ কাজ নিয়ে এতই ব্যাস্ত থাকে যে বাড়িতে রান্না করে খাওয়ার সময় বা ধৈর্য কোনটাই নেই। বেশিরভাগ মানুষ সারাদিন কাজের পর বাইরে থেকে খেয়ে বা খাবার নিয়েই বাড়ি ফেরে। যদি সেটা নাও করে তাহলে অন্তত সপ্তাহে একদিন বাইরে খায়ই। আর বাইরে খাওয়া মানেই খাবারের তালিকায় প্রথমে থাকে বিরিয়ানি।

বেশিরভাগ মানুষের প্রিয় খাদ্য অবশ্যই বিরিয়ানি। বিরিয়ানির নাম শুনলেই জিভে জল আসে। আর রসনা তৃপ্তি পেতে মন চায়। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যাই কোন রেস্তোরায়। কিন্তু কেমন হবে যদি কোন মন্দিরের প্রসাদ হিসাবে পাওয়া যায় বিরিয়ানি ?

কথাটা অবাস্তব মনে হলেও সত্যিই এরকম ঘটনা ঘটে একটি মন্দিরে। সেই মন্দিরে ভক্তদের প্রসাদ হিসাবে দেওয়া হয় চিকেন ও মটন বিরিয়ানি। কথাটা শুনেই হয়ত অনেকের জিভে জল চলে আসবে। এরকম হওয়ারই কথা। আবার অনেকে ভাবতে পারেন এটা আদৌ সত্যি কিনা।

হ্যাঁ, সত্যি এরকমই হয় তামিলনাড়ুর একটি মন্দিরে। তামিলনাড়ুর মাগুরাইইয়ের এক মন্দিরে বিরিয়ানি প্রসাদ দেওয়া হয়। আর সেই কারণেই এই মন্দিরের নাম সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দ্বারা খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে।

মাদুরাইয়ের ভদাক্কমপত্তিতে মুন্ডিয়ানি স্বামীর মন্দির রয়েছে। এই মন্দিরে তিনি পূজিত হন। তার অপর নাম হল মুনীশ্বর। তিনি হলেন ভগবান শিবেরই রূপ। আর এই মন্দিরেই একটি উৎসবে মন্দিরে আসা সকল ভক্তদের প্রসাদ হিসাবে চিকেন আর মটন বিরিয়ানি দেওয়া হয়। এই উৎসবটি হয় জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহের শুক্রবার ও শনিবার।

এই উৎসব চলে আসছে ৮৪ বছর ধরে। মুনীশ্বরকে তুষ্ট করতে এই উৎসবের দিন বিরিয়ানি তৈরি করা হয়। এই প্রসাদ পাবার জন্য সেই দুদিন মন্দিরে ভিড় করে দেশ বিদেশ থেকে আগত ভক্তরা। এই দুদিন মন্দিরে পথ চলতি সকল ভক্তের প্রবেশ।

এই সময়ে মন্দিরে প্রায় এক হাজার কেজি বিরিয়ানি তৈরি হয়। প্রায় ২৫০ টি পাঁঠা ও ৩০০ টি মুরগি বলি দেওয়া হয়। আর তাই দিয়েই তৈরি হয় বিরিয়ানি। ১০০০ কেজি চাল আসে বিরিয়ানি তৈরির জন্য। সেই বিরিয়ানি প্রসাদ শুধু মন্দিরে নয়, প্যাক করে মন্দিরের বাইরেও বিতরন করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.