অভাব, ভারত থেকে চিনি-তুলা আমদানি করবে পাকিস্তান

Odd বাংলা ডেস্ক: বেসরকারি খাতে ভারত থেকে পাঁচ লাখ টন সাদা চিনি আমদানি করবে পাকিস্তান। আজ বুধবার দেশটির দ্য ইকোনোমিক কো-অরডিনেশন কমিটি (ইসিসি) এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী হাম্মাদ আজহার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ভারত থেকে তুলাও আমদানি করা হবে, যা চলতি বছরের জুনের শেষের দিকে শুরু হবে।

নতুন নিয়োগ পাওয়া এ অর্থমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে চিনি বাণিজ্য পুনরায় খুলে দেওয়ার কারণ হিসেবে দুই দেশের মধ্যে দামের পার্থক্যের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ভারত ছাড়া পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকে আমরা চিনি আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। কিন্তু অন্যান্য স্থানে এর দাম অনেক বেশি। যে কারণে তা আমদানি করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে পাকিস্তানের তুলনায় ভারতে চিনির দাম অনেক কম। তাই আমরা সেখান থেকে বেসরকারি খাতে ৫ লাখ টন পর্যন্ত চিনি আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। 'ভারতের তুলনায় আমাদের চিনির দাম ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেশি,' বলেন তিনি।

ভারত থেকে তুলা আমদানির সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তিনি বলেন, পাকিস্তানের বস্ত্র রপ্তানি বেড়েছে কিন্তু গত বছর সে তুলনায় দেশে তুলা উৎপাদন হয়নি। দামের পার্থক্য ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে প্রভাব ফেলছে। বড় ব্যবসায়ীরা মিসর ও অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করতে পারলেও এসএমই ব্যবসায়ীরা তা পারছে না।

এর আগে ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে অধিকৃত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর পাকিস্তান এক প্রতিক্রিয়ায় ভারতের সঙ্গে ব্যবসায়ী সম্পর্ক সীমিত করে। করোনা মহামারিতে প্রয়োজনীয় ওষুধের যাতে ঘাটতি না হয় সে জন্য ২০২০ সালের মে মাসে ভারত থেকে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও কাঁচামাল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে পাকিস্তান। ভারতের সঙ্গে ব্যবসায়ী সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে এটা ছিল পাকিস্তানের প্রথম পদক্ষেপ।

এর আগে, ভারত ছাড়া পৃথিবীর সব দেশ থেকে তুলা, সুতা ও চিনি আমদানির অনুমতি দিয়েছিল পাকিস্তান। এসব পণ্য এখন ভারত থেকেও আমদানি করবে বৈরী সম্পর্কের প্রতিবেশী দেশটি। বাণিজ্য ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ইসিসিতে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপনের আগে খসড়া প্রস্তাবটিতে অনুমোদন দিয়েছেন। এর মানে হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান এর মধ্যে ভারত থেকে এসব পণ্য আমাদানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সম্মতি দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গত সোমবার হাফিজ শেখকে সরিয়ে হাম্মাদ আজহারকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন। আজহার অবশ্য এর মধ্যে শিল্প ও উৎপাদন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তিনি এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ও দেখবেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.