কাঠবেড়ালির প্রেম! প্রেমিকাকে জড়িয়েই বাঁচে জীবন!
Odd বাংলা ডেস্ক: পৃথিবীর কিছু জায়গায় ঋতু পরিবর্তন এতটাই নাটকীয় যে সেখানে টিকে থাকা এক বড় চ্যালেঞ্জ। শীতকালে জাপানের এই দ্বীপগুলো সবুজ থেকে ধূসর শুভ্র হয়ে ওঠে। এই দ্বীপটি পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি তুষারপাতের জায়গাগুলোর একটি।
বেশিরভাগ সময়ই সেখানে গাছগুলো বরফের মূর্তির রূপ ধারণ করে। প্রতি শীতেই টয়ামা শহরগামী এই রাস্তা চলাচল উপযোগী রাখতে ভারী সরঞ্জামের দরকার হয়। তৈরি হয় ৬০ ফুট উচ্চতার বরফের দেয়াল। একটি বন্যপ্রাণী এখানে টিকে থাকতে এক অনন্য জীবন কৌশল প্রয়োগ করে।
সলিটারি কাঠবিড়ালি! আকৃতিতে এরা সাধারণ ধূসর কাঠবিড়ালির মাত্র এক-পঞ্চমাংশ। এই স্ত্রী কাঠবিড়ালিকে হাতের তালুতে অনায়াসে ধারণ করা সম্ভব। দিনের বেলা এরা গাছের চূড়ায় একাকী বিচরণ করে। ওজনে হালকা হওয়ার কারণে এরা ডালের শেষ বিন্দুতে অবস্থান করতে সক্ষম।
বছরের এই সময়ে জঙ্গলে খাবারের ব্যাপক সংকট। গভীর তুষারের আবরণ জঙ্গলের ভূমিতে চলাচল প্রায় অসম্ভব করে তুলেছে। তবে এই কাঠবিড়ালির বিশেষ এক কৌশল রয়েছে। সামনে ও পিছনের পায়ের মধ্যবর্তী একটি পর্দা এদের ৬০ ফুট পর্যন্ত বাতাসে ভেসে যেতে সাহায্য করে।
এভাবেই এরা এক গাছ থেকে অন্য গাছে চলাচল করে এবং খাবার অনুসন্ধান করে। তবে এই বিশেষ কৌশলের পরও নিজেদের গরম রাখতে পর্যাপ্ত খাবার এরা পায় না। কিছুদিন আগেও বিজ্ঞানীদের নিকট প্রাণীটির টিকে থাকা ছিলো বিস্ময়।
সম্প্রতি জানা গেছে, এই কাঠবিড়ালিরা নিজেদের আচরণ পরিবর্তন করে। বছরের বেশিরভাগ সময় আর একাকী জীবনযাপন করে। তবে শীতকালে এরা টিকে থাকার প্রয়োজনীয় শারীরিক উত্তাপ উৎপন্ন করতে পারে না। টিকে থাকার অবলম্বণ হিসেবে তারা স্ত্রী কাঠবিড়ালির কাছে গিয়ে প্রেম নিবেদন করে।
নতুন স্ত্রী কাঠবিড়ালি তার বাসায় সাদরে গৃহীত হয়। শরীরের তাপ আদান-প্রদানের মাধ্যমে এরা একত্রে শীতকালে সফলভাবে টিকে থাকবে। কঠিন সময় টিকে থাকতে হলে প্রয়োজন পারস্পরিক সহযোগিতা। একাকী যা অসম্ভব, সম্মিলিতভাবে তা নস্যি।
Post a Comment