বামাক্ষ্যাপার মুখোমুখি রবি-বিবেকানন্দ! এক পিতার কাহিনী

বিশেষ প্রতিবেদন: সাধক বামাক্ষ্যাপা। তিনি কেবল সাধক নন, তিনি যে তারা মায়ের আদরের সন্তান। যাকে নিজের হাতে খাইয়েছিলেন স্বয়ং মা তারা। তিনি ছিলেন বাকসিদ্ধ। মুখে যা বলে ফেলতেন সেটাই ঘটে নাকি যেত। 

মহান এই সাধকের কাছে তাই অনেকেই ছুটে যেতেন। ছুটে গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথও। একবার চারণকবি মুকুন্দদাসের সঙ্গে তারাপীঠ যান বিশ্বকবি। বামাক্ষ্যাপার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য অপেক্ষা করেন সারাদিন। অবশেষে সন্ধ্যায় বামার সাক্ষাৎ পান রবি। সেদিনই রবীন্দ্রনাথকে তিনি বলেছিলেন, ‘তোর খুব নামডাক হবে।’

ঠাকুর রামকৃষ্ণের সংস্পর্শে আসার পর স্বামী বিবেকানন্দেরও ইচ্ছা হয় বামাক্ষ্যাপাকে দর্শন করার। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৯।  কলেজের সহপাঠী শরৎচন্দ্র চক্রবর্তীকে নিয়ে নরেন এলেন তারাপীঠে। দেখা হল দু’জনের। 

দুজনেই দু’জনের দিকে তখন অপলক তাকিয়ে। দুজনের চোখেই জল। সে যেন এক মহাসন্ধিক্ষণ। এক অপার আনন্দ নিয়ে ফিরলেন নরেন্দ্রনাথ। এমনই ছিল বামার লীলা। যে লীলায় মুগ্ধ হয়েছিলেন রবি-বিবেকানন্দ। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.