শেওড়াফুলির মা কালী এলেন রাণী রাসমণির কাছে! তারপর..
Odd বাংলা ডেস্ক: শেওড়াফুলির নিস্তারিণী কালী মায়ের মন্দির। ১৮২৭ সালে ভাগীরথীর তীরে যে মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শেওড়াফুলি রাজবংশের রাজা হরিশচন্দ্র রায়।
এই নিস্তারিণী মায়ের মাহাত্ম্য স্বচক্ষে দেখেছিলেন স্বয়ং রাণী রাসমণি। তখনও দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দির স্থাপিত হয়নি। প্রতিষ্ঠিত হয়নি মায়ের বিগ্রহ।
রাণী হঠাৎ একদিন স্বপ্নে দেখলেন, দেবী তাঁকে আদেশ করছেন ভাগীরথীর তীরেই মন্দির প্রতিষ্ঠার।
দেবীর আদেশমতই রাণী রাসমণি ভাগীরথীর তীরে মন্দির এবং বিগ্রহ স্থাপন করবেন বলে মনস্থির করেন। গঙ্গাবক্ষে বজরা ভাসিয়ে খুঁজে বেড়ান মনের মত জায়গা। এমনই একদিন জাগ্রত নিস্তারিণী দেবী দর্শনের উদ্দেশে শেওড়াফুলি পাড়ি দিলেন রাণীমা।
ঘাটের কাছে বজরা আসতেই রাণীমা দেখলেন, এক কিশোরী তাদের ডাকছেন। রাণীমার আদেশে বজরা ভিড়ল ঘাটে। কিশোরীর মনোমুগ্ধকর রূপ মোহিত করল রাণীমাকে।
তিনি কিশোরীকে নিস্তারিণী মন্দিরে যাওয়ার পথ দেখাতে বললেন।
কিশোরী জানায়, সে নিজেই তো সেখানে থাকে। তারপর রাণীমাকে সঙ্গে নিয়ে নিস্তারিণী মায়ের থান দেখিয়ে দেয় সে। তারপর হঠাৎই চোখের পলকে হারিয়ে যায় কিশোরী।
গোটা ঘটনায় তো হতভম্ব রাণীমা। তিনি কিশোরীর কথা ভাবতে ভাবতেই দেবীর পূজা দিলেন। তখনই ঘটল এক অলৌকিক ঘটনা।
দেবীর মধ্যেই খুঁজে পেলেন কিশোরীকে। নিস্তারিনী মায়ের চোখ এবং মনমোহিনী হাসিই যে তিনি গঙ্গাপাড়ের কিশোরীর মুখেও দেখেছিলেন।
গোটা ঘটনায় ব্যাকুল হয়ে উঠলেন রাণীমা। আর ভাবলেন, তাহলে ওই কিশোরীই কি স্বয়ং...!
Post a Comment