জন্মদিনে ফিরে দেখা সর্বহারাদের কবি নবারুণ ভট্টাচার্য্য

Odd বাংলা ডেস্ক: জন্ম ১৯৪৮-এ, বহরমপুরে | দিনটি ছিল ২৩শে জুন। বিজন ভট্টাচার্য ও মহাশ্বেতা দেবীর একমাত্র সন্তান নবারুন ভট্টাচার্য | পড়াশোনা করেছেন কলকতার বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট স্কুলে এবং আশুতোষ কলেজে প্রথমে ভূতত্ত্ব নিয়ে ও পরে সিটি কলেজে ইংরেজী নিয়ে | ১৯৭৩-এ বিদেশি সংস্থায় যোগদান করে ১৯৯১ পর্যন্ত সেখানে চাকরি করেন |কিছুদিন বিষ্ণু দে-র ‘সাহিত্যপত্র’ সম্পাদনা করেন এবং ২০০৩ থেকে চালাচ্ছেন ‘ভাষাবন্ধন’ পত্রিকাটি | এর আগে দীর্ঘদিন ‘নবান্ন’ নাট্যগোষ্ঠীর পরিচালনা করেছেন | 

১৯৬৮-তে ‘পরিচয়’ পত্রিকায় প্রকাশিত তার প্রথম ছোটগল্প ‘ভাসান’ | প্রথম কবিতার বই ‘এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না’ ১৯৭২ এবং প্রথম উপন্যাস ‘হারবার্ট’ (পত্রিকায়প্রকাশ: ১৯৯২)| প্রথম উপন্যাস ‘হারবার্ট’ এর জন্য নবারুন নরসিংহ দাস (১৯৯৪), বঙ্কিম(১৯৯৬) ও সাহিত্য আকাদেমি(১৯৯৭) পুরুস্কার পেয়েছেন | কাঙাল মালসাট, অটো ও ভোগী, হালাল ঝান্ডা ও অন্যান্য, মহাজানের অন্য, ফ্যাতাড়ুর বোম্বাচক, মসোলিয়ম, রাতের সার্কাস, খেলনানগর, ইত্যাদি ।

তাঁর সাহিত্য সৃষ্টিতে ছিল সর্বাহারাদের দুঃখের কথা । প্রতিটা লেখায় আমরা পেয়েছি প্রান্তিক মানুষের বেদনার কথা। বেশ মনে পড়ে তাঁর 'কুষ্ঠরোগীর কবিতা' নামের একটি কবিতার কয়েকটি লাইন-


আমার এ কুষ্ঠরোগ

সারানো কি কলকাতা শহরের কাজ

যার হাইড্রেণ্টে জল নেই।

তাই আমি অকুতোভয়ে

চেটে নিই তেজস্ক্রিয় ধুলো

জিভের ঝাড়নে

যাতে করে টেবিল

সব সময় ফিটফাট থাকে

বোঝা যায় না কিছুতে

এটা কুষ্ঠরোগীর টেবিল। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.