কোভিড সেরে যাওয়ার পরেও এই বিষয়ে সতর্ক থাকবেন! নাহলেই...

Odd বাংলা ডেস্ক: কোভিড সেরে যাওয়ার পরে অনেকেরই হৃদরোগের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কারও কারও ক্ষেত্রে হঠাৎ করেই কমে যাচ্ছে অক্সিজেনের মাত্রা। তাই কোভিড সেরে যাওয়া মানেই আর কোনো চিন্তা নেই- এমন ভাবা যাবে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

কেন কোভিডের কারণে পরবর্তী সময়ে হৃদযন্ত্রের উপর চাপ বাড়ছে? চিকিৎসকদের কথায়, কোভিডের জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করার জন্য শরীর যে রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তোলে, তা অনেকে ক্ষেত্রে বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি করে। তাছাড়া কোভিডের কারণে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। তারও প্রভাব পড়ে হৃদযন্ত্রের পেশির উপর। গোড়ায় তা বোঝা না গেলেও পরে টের পাওয়া যায়।

তবে এগুলোর থেকেও বড় কারণ, রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা। করোনার কারণে অনেকেরই রক্ত জমাট বাঁধে। সেই বিষয়ে সচেতন না হলে, পরে সেগুলোই হৃদরোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

হৃদরোগবিদ চিকিৎসক বলছেন, ‘রক্ত জমাট বেঁধেছে কি না, তা বোঝার জন্য ডি ডাইমার পরীক্ষা করাটা খুব দরকারি। কোভিড সম্পূর্ণ সেরে যাওয়ার পরে হঠাৎ করে হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। তার কারণ রক্ত জমাট বাঁধা।’ 

তার কথায়, কারও কারও ক্ষেত্রে এমনও হতে পারে, কোভিডের সংক্রমণ হলেও কোনও উপসর্গ দেখা গেল না। কিন্তু ভেতরে ভেতরে ক্ষতি হলো শরীরের। পরে কোনও পূর্বাভাস ছাড়াই হৃদরোগে আক্রান্ত হলেন ওই মানুষটি। এই সব কারণে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কোভিড কালে আলাদা করে হৃদযন্ত্রের যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

কখন সতর্ক থাকবেন?

বুক ভার

বুকের যেদিক হৃদযন্ত্র আছে, সে দিকটা ভারী লাগছে। মাঝে-মধ্যে অল্প অস্বস্তি হচ্ছে। মনে হচ্ছে হাত দিয়ে চেপে ধরলে ভালো হবে।

অক্সিজেন কম

অক্সিমিটারে পরীক্ষা করলে, হঠাৎ হঠাৎ অক্সিজেনের মাত্রা কম দেখাচ্ছে। কোভিড সেরে যাওয়ার পরেও এমন হওয়ার অর্থ হৃদযন্ত্রে সমস্যা হয়ে থাকতে পারে।

প্রচণ্ড ঘাম

তেমন গরম লাগছে না। কিন্তু মাঝে-মধ্যেই প্রচণ্ড ঘাম হচ্ছে। এটাও হতে পারে হৃদযন্ত্রের সমস্যার কারণ।

শ্বাসের সমস্যা

কোভিড সেরে গেছে এক মাসের ওপর। কিন্তু শ্বাসকষ্ট কমছে না। এর কারণ হতে পারে হৃদযন্ত্রের সমস্যা। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.