মেয়েকে ১১ বছর খুঁজলো বাবা-মা, পাশেই প্রেমিকের বাড়িতে থাকত সে!

Odd বাংলা ডেস্ক: ১১ বছর ধরে নিখোঁজ মেয়ে। বাবা-মাও সন্তানকে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। অথচ তখনকার সেই ১৮ বছরের তরুণী দীর্ঘ ১১ বছর ধরে নিজ বাড়ির পাশেই একটি রুমে বাস করছিলেন। এমনই আজ ঘটনা ঘটে কেরলে। 

জানা যায়, ভালোবেসে বাবা-মায়ের ঘর ছেড়ে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে প্রেমিক আলিনচুবাত্তিল রহমানের বাড়িতে উঠেছিলেন ১৮ বছরের সাজিতা। সেখানেই একটি ঘরে ১১ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন। তার বাবা-মা তো দূরের কথা রহমানের বাবা-মাও সাজিতা অস্তিত্বের কোনো টের পাননি।

রহমানের বয়স এখন ৩৪ বছর। তিন মাস আগে নিখোঁজ হন তিনি। এরপর তার পরিবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু রহমানের বড় ভাই বশির মঙ্গলবার হঠাৎ তাকে এক জায়গায় দেখতে পান। তখন রহমান খুঁজতে গিয়ে সন্ধান মেলে সাজিতারও। দুজনে একটি গ্রামে ভাড়া বাড়িতে থাকছিল।

এরপর পুলিশ তাদের স্থানীয় একটি আদালতে হাজির করে। কিন্তু আদালতে গিয়ে সাজিতা বলেন, তিনি রহমানের সঙ্গেই থাকতে চান। এরপর তাদের একসঙ্গে থাকার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। পুলিশ জানায়, ভিন্ন ধর্মের হওয়ায় নিজেদের সম্পর্কের কথা এতোদিন গোপন রাখেন এই দুজন।

২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের এক রাতে ঘর ছাড়েন সাজিতা। হেঁটে পাশেই প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন তখন ১৮ বছরের এই তরুণী। এরপর পুলিশ সব জায়গায় খোঁজ করেও তার সন্ধান পেতে ব্যর্থ হয়। ওই সময় সাজিতার কাছে কোনও মোবাইল ফোনও ছিল না।

পুলিশ জানায়, তারা রহমানকে কখনও সন্দেহ করেনি। কেউ তাদের সম্পর্কের ব্যাপারে জানতোও না। পালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দুজনই নিখোঁজ হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে এমন কিছু ঘটেনি।

পুরো ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছেন আলিনচুবাত্তিল রহমানের বড় ভাই বশির। তিনি বলেন, তার ভাইয়ের একটি আলাদা রুম ছিল। সেটা তালা লাগিয়ে রাখতো সে। কাউকেই ঢুকতে দিতো না। রহমান মাথা গরম তাই বাবা-মাও তাকে ঘাটাতো না। দিনের বেলাতেও ওই ঘরে গিয়ে খাবার খেতো সে। আমরা যখন কাজে সবাই বাইরে থাকতাম তখন রহমান ও সাজিতা একসঙ্গে থাকতো।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.