হোগলা গাছের 'হুগলি' রয়েছে মনসামঙ্গলেও!
Odd বাংলা ডেস্ক: হুগলি। বাংলার ঐতিহাসিক জেলাগুলির মধ্যে অন্যতম। যে জেলার সঙ্গে জড়িয়ে বহু ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং কিংবদন্তীরা। যে জেলার নামকরণে রয়েছে এক বিশাল গোলকধাঁধাঁ। রয়েছে নানা যুক্তি। কিন্তু 'হুগলি' নামের প্রকৃত উৎস যেন আজও অজ্ঞাত।
তবে ঐতিহাসিক বেশ কিছু তথ্য এখনও ঘোরাফেরা করে। চলুন না এই তথ্য ঘেঁটে গোলকধাঁধাঁ থেকে বেরোনোর চেষ্টা করা যাক।
জানা যায়, পঞ্চদশ শতাব্দীতে হুগলির কোনো অস্তিত্ব ছিলনা। সপ্তগ্রামের অবনতি দেখা দিতে শুরু করলে পর্তুগিজ বণিকদের যত্নে এই শহরের গোড়া পত্তন হয়। তারা গোলাঘাটে একটি আধুনিক দুর্গ নির্মাণ করে। তা থেকেই নাকি হুগলি শহরের উদ্ভব।
অন্য মতে, পর্তুগিজরা নাকি হুগলি নামকরণ করে হোগলা গাছ থেকে। মূলত সে সময় ভাগীরথীর তীরে প্রচুর হোগলা গাছ জন্মাতো। এই হোগলা থেকেই হুগলী নামের উৎপত্তি।
সপ্তদশ শতাব্দীর বিভিন্ন পুস্তক ও কাগজপত্রে হুগলি- ওগোলি, ওগলি, গোলিন, হিউগলি, হাগলে প্রভৃতি নামে অ্যাখ্যাত ছিল।
তবে হুগলির নাম যে বিদেশীকৃত তা কিন্তু মোটেও বলা যায় না। কেননা ১৪৯৫ সালে বিপ্রদাস পিপলাই রচিত ‘মনসামঙ্গল’ কাব্যে হুগলির নামের উল্লেখ রয়েছে।
আর এই রচনা কালের ২২ বছর পর পর্তুগীজরা বাংলায় প্রবেশ করে। তাই ঠিক কোন সময়ে যে হুগলির উৎপত্তি তা সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায় না।
Post a Comment