দ্রুত পচন রোধে পেঁয়াজ ও আলু সংরক্ষণ করুন সঠিক পদ্ধতিতে

Odd বাংলা ডেস্ক: নিত্য প্রয়োজনীয় দুটি উপাদান হচ্ছে আলু ও পেঁয়াজ। প্রতিদিনের রান্নাতেই পেঁয়াজ ব্যবহার হয়। এছাড়া আলুর ব্যবহারও কম হয় না। তাইতো অনেকেই আলু ও পেঁয়াজ একবারে বেশি করে কিনে রেখে দেন। যাতে বার বার বাজারে যাওয়ার ঝামেলা পোহাতে না হয়।

তবে সংরক্ষণের ভুল পদ্ধতির কারণে আলু ও পেঁয়াজ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তাই মনে রাখবেন, এই দুটো কখনো একসঙ্গে সংরক্ষণ করবেন না। কারণ পেঁয়াজ ইথিলিন গ্যাস তৈরি করে বাতাসে ছড়িয়ে দেয়। এই গ্যাস যেকোনো সবজি বা ফলকে পাকিয়ে দ্রুত দেয়। তাই পেঁয়াজের সঙ্গে আলু রাখলে তা দ্রুত পঁচে নষ্ট হয়ে যায়।

এই গ্যাসের কারণে আলুতে দ্রুত অঙ্কুরোদগম হয়ে তা খাওয়ার অযোগ্য হয়ে যেতে পারে। সেসব অঙ্কুরে প্রচুর পরিমাণে গ্লাইকোয়ালকেলোয়েড নামের উপাদান থাকে, যা মস্তিষ্কের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তবে সেসব অঙ্কুর কেটে ফেলে দিয়ে আলু খেলে তাতে কোনো ক্ষতি হয় না।

চলুন এবার জেনে নেয়া যাক আলু ও পেঁয়াজ সংরক্ষণের সঠিক পদ্ধতি-

>> পেঁয়াজ ও আলু দুটো সবজি থেকেই আর্দ্রতা সৃষ্টি হয়, যা দুটো সবজিকেই নষ্ট করে দেয় সহজে। তাই খোলা ও ঠাণ্ডা জায়গায় যেখানে বাতাস থাকে, সেখানে এই দুটো সবজি আলাদা সংরক্ষণ করুন।

>> এছাড়া আলু সংরক্ষণ করা উচিত ভাঁড়ার ঘর বা আলাদা ঘরে, অথবা কাপবোর্ড বা খাদ্যসামগ্রী রাখার আলমারিতে। এই জায়গাগুলো অন্ধকার, ঠাণ্ডা ও শুকনো। তাই আলু এসব জায়গায় ভালো থাকে।

>> সবচেয়ে ভালো উপায় হলো আলু স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে কম, তবে রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রার চেয়ে বেশি তাপমাত্রায় রাখা। পেঁয়াজও এমন জায়গায় রাখতে হবে, যেখানে বাতাস থাকে। কাগজের ব্যাগ বা তারের ঝুড়িতে রাখা যায় পেঁয়াজ। তবে রেফ্রিজারেটরে রাখবেন না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.