খাবারের অপচয় কমানোর ছয় কৌশল


Odd বাংলা ডেস্ক: বেঁচে থাকার জন্য আমাদের সবারই খাদ্য গ্রহণের প্রয়োজন হয়। তাইতো প্রতিদিন নিজেদের জন্য প্রয়োজনীয় খাবারও আমরা গ্রহণ করি। তবে প্রয়োজনের অধিক খাবার আমরা খেতে পারিনা বলে দেখা যায় অনেক সময় অনেক খাবার নষ্ট হয়।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার একটি সমীক্ষায় জানা গেছে, বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১.৩ বিলিয়ন টনেরও বেশি খাদ্যদ্রব্য অপচয় হয়।

জানেন কি, খাবার অপচয়ের ফলে পরিবেশের ওপরও এর খারাপ প্রভাব পড়ছে। তাই আমাদের উচিত এই ব্যাপারে আরও বেশি সচেতন হওয়া এবং খাবার অপচয় বন্ধ করা। এবার চলুন জেনে নেয়া যাক বাড়িতে খাদ্যের অপচয় বন্ধ করার কিছু সহজ টিপস-

তালিকা অনুযায়ী কিনুন

বাজারে যাওয়ার আগে, প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের একটি তালিকা বানিয়ে নিন এবং সেই তালিকা অনুযায়ী খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করুন। তার থেকে বেশি কিছু কিনবেন না।

ফল এবং শাক-সবজি নষ্ট হওয়ার আগে ব্যবহার করুন

বাড়িতে থাকা ফল নরম হয়ে গেলে, সেগুলো স্মুদি বা শরবত বানিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও রুপচর্চার কাজেও ব্যবহার করতে পারেন। আর সবজি যদি তার সতেজ ভাব হারাতে থাকে, তাহলে সেগুলো স্যুপ বানিয়ে খেতে পারেন।

ফ্রিজের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন

আজকাল বেশিরভাগ খাদ্যদ্রব্যই আমরা ফ্রিজে রাখি, যাতে জিনিসগুলো ভালো থাকে। তাই ফ্রিজের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি। খাদ্যদ্রব্যকে ফ্রেশ রাখার জন্য ১°- ৫° সেলসিয়াস হলো আদর্শ তাপমাত্রা। ফ্রিজের তাপমাত্রা বেশি বেড়ে গেলে অনেক সময়ই খাদ্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

যতটুকু দরকার ততটুকু রান্না করুন

একসঙ্গে অনেক রান্না না করে, যতটুকু দরকার ততটুকু রান্না করুন। এর ফলে খাদ্য অপচয় কম হবে এবং আর্থিক দিক থেকেও আপনি লাভবান হতে পারবেন।

মেয়াদ দেখে খাবার কিনুন

খাবারের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে আমরা বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য ফেলে দেই, নষ্ট করি। তাই খাবার যাতে নষ্ট না হয়, সেজন্য কেনার সময় প্রতিটি প্যাকেটের ওপর লেখা মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার তারিখ দেখার অভ্যাস করুন।

খাবার সঠিকভাবে সংরক্ষণ করুন

খাবার সঠিক জায়গায় সংরক্ষণ করুন, যা আপনার খাদ্যদ্রব্যকে দীর্ঘদিন পর্যন্ত ভালো রাখতে সহায়তা করবে, যেমন - পেঁয়াজ, রসুন, কলা, আলু, আপেল, এগুলো ঘরোয়া তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা সবচেয়ে ভালো।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.