ভিটামিন কে-র ঘাটতি বুঝবেন কীভাবে? অবশ্যই জেনে রাখুন
Odd বাংলা ডেস্ক: ভিটামিন কে-এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সবাই কমবেশি জানেন। রক্তক্ষরণ হলে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে এই ভিটামিন। এ ছাড়া হাড়ের গঠনে সাহায্য করে ভিটামিন কে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন কে এসেনশিয়াল ফ্যাট সলিউবল ভিটামিন। এটি হাড় ও হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে। এ ছাড়া এর আরও অনেক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে আমাদের শরীরে। সঠিকভাবে কাজ করার জন্য দেহের অভ্যন্তরীণ পুরো ক্রিয়াকলাপের জন্য অনেক ভিটামিন এবং খনিজ প্রয়োজন। একই সঙ্গে, কোনও ধরণের খনিজগুলির ঘাটতি শরীরে রোগ আকারে দেখা দিতে শুরু করে।
সাধারণত শিশুদের মধ্যে ভিটামিন কে এর ঘাটতি দেখা যায়। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ভিটামিন কে এর অভাব খুব কমই দেখা যায়। তবে এর অভাব হৃদরোগের কারণ হতে পারে। শরীরে ভিটামিন কে-এর ঘাটতি হলে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন-
১. ভিটামিন কে-এর ঘাটতির কারণে হাড়ের ঘনত্ব দুর্বল হতে শুরু করে। যার কারণে হাড় ভেঙে যায় বা ফাটল ধরে। এ ছাড়া ভিটামিন কে এর ঘাটতির কারণে অস্থিসন্ধির ব্যথাও শুরু হয়। এছাড়াও, এটি পরবর্তীতে অস্টিওপোরোসিসের অবস্থায় পরিণত হতে পারে।
২. ভিটামিন কে এর ঘাটতি হলে হঠাৎ স্প্যামস এবং পেশিগুলিতে অনিয়ন্ত্রিত সংকোচন দেখা দিতে পারে। রক্তে পটাসিয়ামের মাত্রা কম থাকলে এটি ঘটতে পারে।
৩. শরীরে ভিটামিন কে-এর অভাব হলে হৃৎপিণ্ডের কাজ বাধাগ্রস্ত হতে শুরু করে।
৪. যদি দাঁত বা মাড়ি থেকে প্রায়ই রক্তক্ষরণ হয় তবে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। এটি ভিটামিন কে-এর ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে।
পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যথা
নারীদের ঋতুস্রাবের সময় ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। তবে এই ব্যথা যদি বেশি হয় তবে সমস্যা হতে পারে। এটি চিকিৎসার ভাষায় মেনোরিয়াজিয়া হিসাবে পরিচিত। শুধু তাই নয়, ভিটামিন কে এর ঘাটতি হলে উর্বরতা সম্পর্কিত সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
বিশষজ্ঞদের মতে, শরীরে ভিটামিন কে-এর ঘাটতি পূরণে খাদ্যতালিকায় দই, কাঁচা পনির এবং সবুজ শাকসবজি রাখতে হবে। চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ বা সাপ্লিমেন্টও নিতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের তথ্য অনুযায়ী, নারীদের ক্ষেত্রে দৈনিক ১২২ মাইক্রোগ্রাম ও পুরুষের ক্ষেত্রে দৈনিক ১৩৮ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে প্রয়োজন পড়ে। এ পরিমাণ ভিটামিন কে শাকসবজি থেকেই পাওয়া সম্ভব।
Post a Comment