Odd বাংলা ডেস্ক: ভারত তাদের জনগণকে টিকার আওতায় আনতে ও করোনভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে উঠেপড়ে লেগেছে। এই টিকা পৌছে দিতে চিকিৎসাকর্মীদের প্রায়শই দুর্গম অঞ্চলে পৌঁছাতে হয়। এ জন্য বিপদজনক উচ্চতা ও পাহাড়ি গিরিখাত পার হতে হয় তাদের। ভারত-শাসিত কাশ্মীরের রাজধানী থেকে ১০০ কিলোমিটার (৬০ মাইল) এরও বেশি উত্তরে লিদারওয়াত অঞ্চল। চিকিৎসা দলগুলিকে এখানকার পাহাড়ের যাযাবর ও রাখাল উপজাতিদের কাছে পৌছাতে প্রায় ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় পায়ে হেঁটে পার হতে হয়।
সম্প্রতি এক সকালে, অক্সিজেন সিলিন্ডার সহ মেডিকেল কিট এবং সরঞ্জাম নিয়ে ১২জন স্বাস্থ্যকর্মীর একটি দলের সঙ্গে লিদারওয়াতের পথে পায়ে হেঁটে যাত্রা করে সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের একটি দল। পাহাড়ের চূড়ায় একটি তৃণভূমিতে পৌছে স্বাস্থ্যকর্মীরা লোকেদের জড়ো করে ও নীল সুরক্ষামূলক স্যুট দিয়ে টিকা দেওয়ার জায়গাটি স্থাপন করে।
স্থানীয় চিকিৎসা কর্মকর্তা নাসির খান রয়টার্সকে বলেন, "তারা (যাযাবর উপজাতিরা) পুরোপুরি শিক্ষিত বা টিকা দেওয়ার বিষয়ে সচেতন নয়।"চ্যালেঞ্জের একটি অংশ ছিল এখানকার মানুষদের বোঝানো। "আমাদের তাদের সঙ্গে কথা বলতে হয়েছে, তাদের বোঝাতে এবং তাদের আস্বস্থ করতে হয়েছে। তিনি বলেন, এটি একটি বিশ্বাস গড়ে তোলার প্রক্রিয়া। তবে শুরুতে দ্বিধা ছিল।"
বিশ্বে করোনাভাইরাসের টিকার প্রধান নির্মাতাদের মধ্যে একটি হওয়া সত্ত্বেও, ভারত তার ১.৩ বিলিয়ন মানুষকে টিকার আওতায় আনার এক বিশাল চ্যালেন্জের মুখে পড়েছে। আংশিকভাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছানোর যৌক্তিক চ্যালেঞ্জ এবং সংশয় এবং টিকাদান প্রক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞানের অভাবের কারণে এমটি হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মারাত্বক ক্ষতি করেছে। এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হিমসিম খাচ্ছে তারা। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন যে এই বছরের শেষের দিকে এ ভাইরাসের তৃতীয় তরঙ্গ আঘাত হানতে পারে। এর থেকে রক্ষার জন্য টিকাদান অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতে এখনো পর্যন্ত প্রায় ২৯.৩ মিলিয়ন করোনা সংক্রমণ রেকর্ড করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যা এটি। এর পাশাপাশি ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৮৯ জন জন মারা গেছে ভারতে।
Post a Comment