Copa America: নজর কাড়তে পারেন এই তারকারা
Odd বাংলা ডেস্ক: প্রতিভার কমতি নেই লাতিন আমেরিকার ফুটবলে। তাই কোপা আমেরিকায় যে চমক থাকবে তা বলা যেতেই পারে। অনেকের দিকেই থাকবে চোখ।
এই তালিকায় লিওনেল মেসির সঙ্গে আছেন ব্রাজিলের দুই ফরোয়ার্ড নেইমার ও গাব্রিয়েল বারবোসা। চিলির স্ট্রাইকার এদুয়ার্দো ভারগাসের সঙ্গে আছেন কখনও কোপা আমেরিকা না জেতা দুই দেশ একুয়েডর ও ভেনেজুয়েলার দুই সদস্য।
একুয়েডরের টিএনএজার মোইসেস কেইসেদোর ক্যারিয়ার সবে শুরু। ভেনেজুয়েলার ইয়েফেরসন স্তলেদোর অবশ্য খেলা এখনও নিশ্চিত নয়। সৃজনশীল এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ভুগছেন চোটে।
লিওনেল মেসি
স্বাভাবিকভাবেই প্রথম নামটা আর্জেন্টিনা অধিনায়ক মেসির। বার্সেলোনার হয়ে সব জেতা এই ফরোয়ার্ডের দেশের হয়ে অর্জন যে শূন্য। জাতীয় দলের হয়ে একটি শিরোপা জেতার সময় ক্রমেই ফুরিয়ে আসছে তার। যেকোনো মূল্যে এই সুযোগ কাজে লাগাতে অধীর হয়ে থাকবেন তিনি।
মোইসেস কেইসেদো
একুয়েডরের কেইসেদোকে দলে পেতে এই বছর লড়াইয়ে নেমেছিল ইংলিশ ক্লাবগুলো। শেষ পর্যন্ত এই টিনএজ মিডফিল্ডার প্রিমিয়ার লিগের নিচের দিকের দল ব্রাইটন এন্ড হোভ আলবিওনকে বেছে নেওয়ায় অবাক হয়েছিলেন অনেকেই।
মাঠের ফুটবল দিয়ে এর চেয়ে বেশি মানুষকে চমকে দেওয়ার সামর্থ্য আছে তার। বুদ্ধিদীপ্ত পাস ও বক্স থেকে বক্স পর্যন্ত দৌড়ে খেলার সামর্থ্যের জন্য পরিচিত ১৯ বছর বয়সী কেইসেদোর এখনও ইংলিশ ফুটবলে অভিষেক হয়নি। তবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে এরই মধ্যে সামর্থ্যের ছাপ রেখেছেন তিনি।
গত অক্টোবরে ১৮ বছর বয়সে একুয়েডরের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয় তার। উরুগুয়ের বিপক্ষে ৪-২ ব্যবধানে জেতা ম্যাচে গোল করে রাঙিয়ে রাখেন নিজের প্রথম ম্যাচ। একই সঙ্গে জায়গা করে নেন ইতিহাসের পাতায়। গড়েন একুয়েডরের হয়ে সবচেয়ে কম বয়সে গোলের রেকর্ড।
কোপা আমেরিকা হতে পারে কেইসেদোর আরও বড় পরিসরে সামর্থ্য দেখানোর মঞ্চ।
নেইমার
আরেকটি টুর্নান্টে, নেইমারের সামনে আরেকটি সুযোগ ব্রাজিলের হয়ে বড় কোনো টুর্নামেন্ট জেতার।
চোটের জন্য ২০১৯ কোপা আমেরিকায় খেলতে পারেননি নেইমার। দেশের মাটিতে সেবার শিরোপা জেতে ব্রাজিল। দেশের হয়ে ২০১৬ অলিম্পিক ও ২০১৩ কনফেডারেশন কাপ জিতেছেন নেইমার, তবে তা কোপা আমেরিকার সম পর্যায়ের নয়।
কোচ তিতে নিশ্চিতভাবেই নেইমারকে বাইরে রাখবেন না। পিএসজি ফরোয়ার্ড এখনও ব্রাজিলের সেরা তারকা। তবে ২০১৮ বিশ্বকাপের অনুজ্জ্বল পারফরম্যান্সের পর এবং তাকে ছাড়াই দল গতবার কোপা আমেরিকার শিরোপা জেতায় নেইমার এবারের আসরের নিজের উপস্থিতির জানান দেওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকবেন।
ইয়েফেরসন স্তলেদো
ভেনেজুয়েলার হয়ে হয়তো শিরোপা জেতার খুব একটা সম্ভাবনা নেই স্তলেদোর। তবে নিজেদের সাম্প্রতিক ছন্দটা ধরে রাখতে পারলে খর্বকায় এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার নিশ্চিতভাবেই নজর কাড়বেন।
পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চি উচ্চতার স্তলেদো আলো ছড়িয়েছেন সান্তোসে। চলতি বছর কোপা লিবের্তাদোরেসের ফাইনালে ছিলেন উজ্জ্বল। চমৎকার ড্রিবল আর ট্রেডমার্ক ইন কাটের জন্য ভক্তদের কাছে দারুণ প্রিয় তিনি।
এপ্রিলে দল পাল্টে টরেন্টো ফুটবল ক্লাবে যোগ দেন স্তলেদো। মে মাসের শেষ দিকে চোট পাওয়ায় আপাতত মাঠের বাইরে আছেন তিনি। কোপা আমেরিকায় তাকে দলে পেতে শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবে ভেনেজুয়েলা।
এদুয়ার্দো ভারগাস
পাদপ্রদীপের আলোর সবটুকু জুড়ে থাকেন সতীর্থ আলেক্সিস সানচেস। চিলির সাফল্যের জন্য এই স্ট্রাইকারই বেশি বাহবা পেয়ে থাকেন। তবে আক্রমণভাগে তার সঙ্গী এদুয়ার্দো ভারগাসও জাতীয় দলের জন্য কম গুরুত্বপূর্ণ নন।
উদ্দীপ্ত ভারগাসের ক্লাব ক্যারিয়ার বেশ বৈচিত্রপূর্ণ। ১৪ বছরে খেলেছেন ৭ দেশের ৯ ক্লাবে।
তবে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার বেশ ধারাবাহিক। ৯৪ ম্যাচে করেছেন ৩৮ গোল। কোপা আমেরিকা যেন তার নিজের সামর্থ্য দেখানোর মঞ্চ। ২০১৫ ও ২০১৬ আসরে তিনি ছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
চিলির এখন কঠিন সময় যাচ্ছে। বাছাইপর্ব উতরাতে না পারায় খেলতে পারেনি ২০১৮ বিশ্বকাপে। কোপা আমেরিকায় কেমন করবে তা অনেকটা নির্ভর করছে ৩১ বছর বয়সী এদুয়ার্দোর ওপর।
গাব্রিয়েল বারবোসা
নামের পাশের তকমাই বলে দেয় বারবোসা সম্পর্কে। ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ডকে ভালোবেসে ভক্তরা ডাকেন ‘গাবিগোল’ নামে। ক্যারিয়ারের শুরুতে সান্তোসে খেলার সময় পেয়েছিলেন এই নাম।
প্রবল প্রত্যাশা থাকলেও ইন্টার মিলান ও বেনফিকায় কাটেনি ভালো সময়। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, সর্বোচ্চ পর্যায়ে সাফল্য পাওয়ার সামর্থ্য তার আছে কি না।
ফিরে আসেন ব্রাজিলে। ফ্লামেঙ্গোয় ফিরে পান ছন্দ। গোল করতে থাকেন নিয়মিত। ২০১৯ সালে তার শেষ সময়ের দুই গোলে দল জেতে কোপা লির্বেতাদোরেসের শিরোপা।
প্রতিভাবান ফরোয়ার্ডে পূর্ণ ব্রাজিল দলের একাদশে শেষ পর্যন্ত বারবোসা সুযোগ পাবেন কি-না, এ নিয়ে সংশয় আছে। শেষ পর্যন্ত সুযোগ পেলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজের ছাপ ফেলার এটা হবে তার বড় মঞ্চ।
Post a Comment