Odd বাংলা ডেস্ক: নষ্ট করা বা বদলে ফেলা কঠিন বলে দিনকে দিন পরিবেশকে যা বিষিয়ে তুলছে, সেই প্লাস্টিকদূষণের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার আশা জাগিয়েছে সাম্প্রতিক এক আবিষ্কার। বিজ্ঞানীরা বলছেন, অনেক কম খরচে বর্জ্য প্লাস্টিককে রূপান্তর করা যাবে মানুষের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পণ্য ভ্যানিলিনে।
খাদ্য, প্রসাধনী, ওষুধ, ঘর ও আসবাব পরিষ্কার করার জিনিসপত্র এবং বিভিন্ন ভেষজনাশক (হার্বিসাইড) তৈরির জন্য ভ্যানিলিন একরকম অপরিহার্য উপাদান। এই প্রযুক্তিতে বর্জ্য প্লাস্টিককে পরিবেশ থেকে হটানোও যাবে অনেক কম খরচে। ফলে পুকুর, নদী, সমুদ্র ও মহাসাগরে উত্তরোত্তর বেড়ে চলা বর্জ্য প্লাস্টিকের পরিমাণ নিয়ে যে গভীর উদ্বেগ এখন বিশ্বের সর্বত্র, এই আবিষ্কার আগামী দিনে তার থেকে রেহাই পাওয়ার আলো দেখাতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞানবিষয়ক ‘গ্রিন কেমিস্ট্রি’ পত্রিকায়। বর্জ্য প্লাস্টিককে এভাবে মানুষের খুব কাজে লাগার পদার্থে রূপান্তর করতে গবেষকরা কাজে লাগিয়েছেন এক বিশেষ ধরনের ব্যাকটেরিয়াকে, যার নাম ‘ই-কোলি’। তাঁরাই প্রথম দেখিয়েছেন, এই ব্যাকটেরিয়ার জিনে কিছু রদবদল ঘটিয়ে যদি তাকে আরো শক্তিশালী করে তোলা যায়, তাহলে সেটি খুব সহজেই বাতাস থেকে টেনে নিতে পারে বর্জ্য প্লাস্টিকের বিষ।
এর আগে অন্যান্য গবেষণায় জানা গিয়েছিল, প্লাস্টিক ক্ষয়ে গিয়ে দীর্ঘ সময় পরে টেরেফথ্যালিক এসিডে রূপান্তরিত হয়। এই এসিড বিষাক্ত। ফলে তা জল ও পরিবেশের পক্ষে হয়ে ওঠে আরো বিপজ্জনক। এই টেরেফথ্যালিক এসিডকে মানুষের ব্যবহারযোগ্য পদার্থে এত দিন রূপান্তরিত করা সম্ভব হচ্ছিল না বলেই প্লাস্টিকের দূষণ অত্যন্ত চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে বিশ্বে প্রতি মিনিটে ১০ লাখ প্লাস্টিকের বোতল বিক্রি হয়। এর মাত্র ১৪ শতাংশকে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা সম্ভব। বাকিটা পানি ও পরিবেশকে দূষিত করে নানাভাবে।
Post a Comment