শখের বশে মানুষ হত্যা! এরা কারা?
Odd বাংলা ডেস্ক: ক্রিমিনাল! ঘাতক! কিংবা অপরাধী নামগুলো কেমন যেন উৎকণ্ঠা তৈরি করে। পৃথিবীতে এমনো কিছু অপরাধী আছে যাদের নৃশংসতা ছাড়িয়ে গেছে সকল অন্যায় ও পাপকে। যাদের কথা বললেই গায়ের লোম শিউরে উঠে, তেমনি কয়েকজন অপরাধী সম্পর্কে চলুন জেনে আসি-
দ্য রিয়েল পেনিওয়াইজ: এই ভয়ঙ্কর জোকারের ছবি আমরা অনেকেই হয়তো বিভিন্ন বই কিংবা সিনেমায় দেখেছি আর তাকে দেখে তার চরিত্রের কথা হয়তো আমরা অনেকে কল্পনায়ও চিন্তা করি। ১৯৮০ সালের দিকে একজন সত্যিকার জোকার বাচ্চাদের কিডন্যাপ করে পরবর্তীতে মেরে ফেলতো। সেই ব্যক্তির আসল নাম ছিলো জন গেইন ভ্যাসিই, যিনি জোকারের মুখোশ পরে বাচ্চাদের সামনে যেতেন এবং তাদেরকে ভুলিয়ে খেলার সাথী হয়ে অবশেষে হত্যা করত। বাচ্চাদের প্রতি তার এই আক্রোশের কারণ সত্যিই রহস্যজনক।
আই বল ম্যান: এই ব্যক্তি দুনিয়ার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর চেহারার মানুষই নন সেই সাথে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় অপরাধীদের মধ্যে একজন। ২০১২ সালে পুলিশের উপর গুলি চালানোর অপরাধে তাকে আটক করা হয়েছিলো। হিংস্র চেহারার এই ব্যক্তির মুখের একদিকে ট্যাটু করা ছিলো এমনকি সে তার চোখের উপরেও ট্যাটু করেছিলেন যেটি তাকে আরো ভয়ংকর রূপ দিয়েছিলো।
দ্য রেড রিপার: দ্য রেড রিপারের নামে এ পর্যন্ত অনেকগুলো সিনেমা নির্মাণ করা হয়েছে এবং সিনেমাগুলোতে দেখানো হয় সে ইংল্যান্ডের অনেক মহিলাকে তার নিজের হাতে হত্যা করেছে। মাত্র ১২ বছরের ব্যবধানে ৫২ জন নারী ও শিশুকে হত্যা করেছে। কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো সে এই অপরাধগুলোর একটিরও কোনো প্রমাণ বা সাক্ষ্য রাখেনি। অতঃপর ১৯৯০ সালে তাকে আটক করা হলে সে ৩৬ জন মানুষের হত্যার দাবি স্বীকার করে যদিও তার নামে শুধুমাত্র পঞ্চাশের বেশি মহিলা ও শিশুকে হত্যার সত্যতা মিলেছে।
এইলেন ওয়ারনোর্স: ‘মনস্টার’ নামে সমাধিক পরিচিত এই মহিলা মাত্র এক বছরের মধ্যে আমেরিকায় ৭ জন ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলেন। এইলেনের নামে ‘মনস্টার’ শিরোনামে একটি সিনেমাও তৈরি করা হয়েছে এবং এই সিনেমাটি অনেকগুলো পুরস্কারও পেয়েছিল।
রোডনি এলসেলা: ১৯৭০ সালে ৫ জন মহিলাকে হত্যা করেন তিনি। কিন্তু তার দাবি, তিনি সর্বমোট ৩৪ জন বিভিন্নভাবে হত্যা করেছেন যদিও পুলিশি দাবি ভিন্ন কথা বলে। পুলিশের মতে, এই নরঘাতক ১৪০ জনের উপরে মানুষ হত্যা করেছেন। খুবই অদ্ভুত ব্যাপার হলো, মানুষ হত্যার পর রিয়েলিটি শো'তে গিয়ে অংশগ্রহণ করতেন তিনি এবং সেই শো’তে জিতেও যেতেন৷
Post a Comment