ফলহারিণী অমাবস্যায় মা সারদাকে পুজো করেছিলেন রামকৃষ্ণদেব!


Odd বাংলা ডেস্ক: কালকে হরণ করেছেন যিনি,তিনিই তো কালী। আর এই মদেবী কালিকাকেই কোথাও নিত্যকালী, কোথাও মহাকালী, কোথাও ভদ্রকালী, কোথাও শ্যামাকালী, কোথাও রক্ষাকালী, কোথাও সিদ্ধেশ্বরী কালী, কোথাও শ্মশানকালী, কোথাও রটন্তীকালী, আবার কোথাও ফলহারিনী কালী রূপে পুজো করা হয়। জৈষ্ঠ্য মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশীতে ফলহারিনী কালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। ব্রহ্মময়ী কালী একদিকে যেমন সৃষ্টি স্থিতি বিনাশ করছেন, সমস্ত কিছু শক্তি, জ্ঞান, ইচ্ছা ও কর্ম শক্তিরূপে বিরাজিতা।

বাঙালি জীবনে ফলহারিণী কালী পুজোর তাৎপর্য লুকিয়ে রয়েছে শ্রীরামকৃষ্ণের জীবনে। বলা হয়, জগৎ কল্যাণের জন্য শ্রীরামকৃষ্ণ এই দিনেই স্ত্রী সারদা দেবীকে পুজো করেছিলেন। ১২৮০ বঙ্গাব্দে জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যা তিথিতে তিনি দক্ষিণেশ্বরে আদ্যাশক্তি সগুণরূপের পুজো করেছিলেন। তিনি ফলহারিণী কালী পুজোর দিন শ্রীমা সারদাকে ষোড়শীরূপে পুজো করেছিলেন বলে আজও রামকৃষ্ণমঠ ও আশ্রমে এই পুজো 'ষোড়শী' পুজো নামে পরিচিত। শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর মোক্ষপ্রাপ্তির জন্য এই নিয়মে পুজো করলেও এই দিনটিতে হিন্দু ধর্মাবলাম্বী মানুষ নানাবিধ ফল দিয়ে কালীর পুজো করে থাকেন।

জ্যৈষ্ঠমাসে আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল ইত্যাদি নানারকম ফলের মরসুমি ফল পাওয়া যায়। সাধক তাঁর ইষ্টদেবীকে বিভিন্ন ফল দিয়ে প্রসাদ নিবেদন করে থাকেন।একদিকে ফলহারিণী যা সাধকের কর্মফল হরণ করেন। অপর দিকে কর্মফল হরণ করে সাধককে তাঁর অভীষ্টফল, মোক্ষফল প্রদান করেন। ফলহারিণী কালীপুজো করলে আমাদের প্রত্যেকের বিদ্যা, কর্ম ও অর্থভাগ্যের উন্নতি ঘটে। প্রেম-প্রণয়ে বাধা দূর হয়। দাম্পত্য সাংসারিক জীবনেও সুখশান্তি লাভ হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.