গরমে হৃদরোগ থেকে বাঁচতে খেয়াল রাখুন এই সব উপসর্গ!
Odd বাংলা ডেস্ক: প্যাচপ্যাচে গরমে নাজেহাল জীবন। যখন তখন সানস্ট্রোকের ভয়। তবে হার্ট অ্যাটাক নিয়ে চিন্তা নেই— এমনটা যাঁরা ভাবেন, তাঁরা ষোলোআনাই ভুল ভাবেন, বলছেন চিকিৎসকরা। বরং এই সময়েই আপনার অজ্ঞাতসারে বাড়তে পারে হৃদরোগ। বিপদের মুখোমুখি দাঁড়াতে হতে পারে যখন তখন।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ জানান, ‘‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কোনও আগাম সঙ্কেত ছাড়াই আসে। গরম কালেও এই রোগ হানা দিতে পারে। হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হতে শুরু করলেই এই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সম্ভাবনা বাড়ে। শীত কালে সাধারণত এর আক্রমণ বেশি হলেও গরমেও যখন তখন হানা দিতে পারে হৃদরোগ।’’
চিকিৎসকদের মতে মূলত তিনটি কারণে যখন তখন হৃদরোগ হতে পারে। যেমন: কোলেস্টরেল বেড়ে গেলেট্রাইগ্লিসারাইড বেড়ে গেলেব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে না থাকলে
প্রসঙ্গত, ‘দ্য লানসেট’ নামক আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ম্যাগাজিনে একটি প্রতিবেদনে গবেষকরা দাবি করেছেন, বাড়তে থাকা স্ট্রেস এবং চাপা উদ্বেগ হৃদরোগের একটি বড় কারণ।
আর এক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ‘‘সমস্ত হার্ট অ্যাটাক কিন্তু কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে পর্যবসিত হয় না। কোনও রোগীর ধমনী ব্লক হয়ে গেলে অক্সিজেনপূর্ণ রক্ত হৃৎপিণ্ডে পৌঁছনো বন্ধ হয়ে যায়। তখনই হয় হার্ট অ্যাটাক। দ্রুত চিকিৎসা শুরু না হলে হৃৎপিণ্ডের সেই অংশটি অকেজো হয়ে যায়। গরমকালে এই ধরণের হৃদরোগ হতে পারে রাতের দিকে, আচমকা। বিপদ এড়াতে জীবনযাপনের বিষয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি।’’
কোনও কোনও ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা বোঝা যায় না। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে প্রথমেই সতর্ক হতে বলছেন চিকিৎসকরা। দুশ্চিন্তার লাগাম টানতে না জানলে বিপদের সম্ভাবনা একশো শতাংশ। গরমের রাতে যত সম্ভব হালকা খাবার খেতে বলছেন চিকিৎসকরা। তবে পুরোটাই নিজের হাতে ছাড়া যাবে না। তবে কিছু কিছু সমস্যা দেখলে সাবধান হোন।
হজমের সমস্যা এর অন্যতম। বদহজম হলে হার্টের উপর তার প্রভাব পড়ে। সুতরাং সাবধান হোন।অতিরিক্ত ঘাম হওয়া হৃদরোগের অন্যতম লক্ষণ। অনেক সময় বিনবিনে ঘাম হয়, এসি-তে থাকলেও গরমের অস্বস্তি কাটে না।ঘাম, চোখে-মুখে অন্ধকার দেখা যেমন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, তেমনই হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও হতে পারে এটি।বুকে-পিঠে ব্যথা, হাতে একটানা কনকনে ব্যথা হওয়াও অনেক সময় হৃদরোগের বার্তাবাহী। একটানা অনেক দিন ধরে চিনচিনে ব্যথা হলেও সাবধান।এই সব ক্ষেত্রে যত তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া যাবে, ততই বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
Post a Comment