হাজার হাজার জুতো ঝুলছে গাছে! কিন্তু কেন?

Odd বাংলা ডেস্ক: প্যারিসের লাভ লক ব্রিজের কথা আমরা অনেকেই শুনেছি। যেখানে ভালোবাসার তালা মেরে চাবিটা ছুড়ে ফেলুন শ্যেন নদীতে। তাদের বিশ্বাস ভাঙবে না প্রেম! আলাদা হবে না প্রেমের জুটি! এভাবেই তাদের ভালোবাসা চিরজীবী হবে।  

তেমনই আরেক প্রথার কথা বলবো আজ। সেটি হলো গাছে গাছে জুতা ঝুলিয়ে রাখা। এই প্রথাটি নির্দিষ্ট করে বললে অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ড, ইংল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, দক্ষিণ আফ্রিকা, হন্ডুরাস, চীন, রাশিয়া ও মধ্য এশিয়ার কয়েকটি দেশে দেখা যায়। তবে বিচিত্র প্রথার আরো অদ্ভুত বিষয় হলো মানুষ নির্দিষ্ট করে জানেই না কেন এটা করা হয় এবং এর উৎপত্তি কবে থেকে।

প্রথাটির উৎপত্তি নিয়ে কয়েকটি বিষয় প্রচলিত আছে। অনেকে মনে করেন, উত্তর আমেরিকায় ১৯৩০ সালের মহামন্দার সময় থেকে এটা প্রচলিত। তখন মানুষ অনেক অসহায় হয়ে পড়ায় যাদের বাড়তি জুতা আছে তারা সেগুলো অন্যের জন্য গাছে ঝুলিয়ে রাখতে শুরু করে। অনেকটা বাংলাদেশে প্রচলিত ‘মানবতার দেয়াল’ এর মতোই। পরবর্তীতে মন্দা কেটে গেলেও এই প্রথা রয়ে যায়। 

২০১০ সালে আমেরিকার আরকানসাসে জুতা ঝুলিয়ে রাখা একটি গাছ কাত হয়ে পড়ে, সেখানে ১৯৪০ সালে তৈরি জুতা পাওয়া যাওয়ায় এমন ধারণার উদ্ভব। জুতায় মার্কার কলম দিয়ে সাল লেখা ছিল। জুতা ঝুলানো নিয়ে আরেকটি তত্ত্ব আমেরিকান সৈন্যদের নিয়ে। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকানরা যুদ্ধে জড়ায় ভিয়েতনাম ও কোরিয়ার সঙ্গে। প্রচলিত আছে, যুদ্ধ ফেরত সৈন্যরা তাদের জুতা জোড়া গাছে ঝুলিয়ে দিয়ে বলতো ‘আমার কাজ শেষ, জীবনে নতুন অধ্যায়ের শুরু’। 

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান রাজ্যে প্রচলিত তথ্য অবশ্য বেশ ভয়ংকর। সেখানকার মানুষের ধারণা, রাজ্যে এক সিরিয়াল কিলার ছিল। কতজন মানুষের জীবন নিয়েছে সে তথ্য হিসেব করতেই নাকি গাছে মৃতদের জুতা ঝুলিয়ে রাখতো খুনি। ইংল্যান্ড এবং ইউরোপে অবশ্য কিছুটা ভিন্ন কারণ পাওয়া যায়। দেশগুলোতে প্রজনন উর্বরতা বৃদ্ধির প্রার্থনায় জুতা ঝুলানোর কথা প্রচলিত আছে। এছাড়া কেউ মারা গেছে বোঝাতেও জুতা ঝুলিয়ে রাখা হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.