করোনায় আক্রান্তদের নির্জন দ্বীপে পাঠাতে চেয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
Odd বাংলা ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনায় আক্রান্তদের গুয়ানতানামো বে কারাগারে পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। গত বছর যখন করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছিল, ঠিক তখনই এমন সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলেন তিনি। ওয়াশিংটন পোস্টের দুই রিপোর্টারের ভিত্তিতে লেখা একটি নতুন বইয়ে এমন দাবি তোলা হয়। ''নাইটমেয়ার সিনারিও: ইনসাইট দ্য ট্রাম্প'স অ্যাডমিনিসট্রেশন রেসপন্সটু দ্য প্যান্ডেমিক দ্যাট চেইঞ্জড হিস্ট্রি'' নামক বইটির লেখক ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক ইয়াসমিন আবু তালেব ও দামিয়ান পালেত্তা।
গুয়ানতানামো বে কারাগার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি কারাগার, যা বন্দিদের ওপর অমানবিক নির্যাতনের জন্য কুখ্যাত। এই কারাগারে বন্দিদের বিনা বিচারে আটকে রাখা হয় এবং তথ্য আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে বন্দিদের ওপর যৌন অত্যাচারসহ আইনবহির্ভূত নানা নির্যাতন চালানোর অভিযোগও রয়েছে।
৯/১১-এ যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর সন্দেহভাজনদের আটক রাখতে ২০০২ সালের জানুয়ারিতে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ এই কারাগার চালু করেছিলেন। ১৯০৩ সালের হাভানা চুক্তির আওতায় কিউবা থেকে ইজারা নিয়ে কারাগারটি তৈরি করে তারা।
ডোনাল্ট ট্রাম্পের সময়ে করোনায় বিধ্বস্থ ছিল মার্কিন মুলুক। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বলছে, মহামারিতে সেদেশের ৬ লাখ মানুষ প্রাণ হারান। যার মধ্যে ৪ লাখের মৃত্যু হয় ট্রাম্পের আমলে। ট্রাম্পের কিছু শীর্ষ উপদেষ্টার সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তথ্যগুলো বইটিতে তুলে ধরেন ওয়াশিংটন পোস্টের ওই দুই প্রতিবেদক। সেখানে তারা উল্লেখ করেন, ট্রাম্প শুরুতে নিজের করোনা পরীক্ষা করতে রাজি ছিলেন না। কারণ ট্রাম্পের ধারণা ছিল, তিনি কোভিড-১৯ পজেটিভ হলে আসন্ন নির্বাচনে হেরে যেতে পারেন।
এছাড়া করোনাকালে হোয়াইট হাউসের আমলাদের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কের বিষয়টিও উঠে আসে বইটিতে। যেখানে দাবি করা হয়, হোয়াইট হাউজের চিকিৎসা বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা ড. অ্যান্থনি ফাউচির সঙ্গেও ট্রাম্পের সম্পর্ক ভালে ছিল না। মহামারির সময়ও ডোনাল্ড ট্রাম্প চিকিৎসকদের চেয়ে অর্থনীতিবিদের বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।
Post a Comment