বিয়ের আগে অতীত শারীরিক সম্পর্কের বিষয়ে কি জানাবেন?
Odd বাংলা ডেস্ক: বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে একটি দম্পতি সম্পূর্ণ নতুন জীবনে প্রবেশ করে। তাই এই নবজীবনের শুরুতে চাই পারস্পারিক স্বচ্ছতা। আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল হবু দম্পতির প্রাক্তন প্রেম এবং শারীরিক সম্পর্কের বিষয়গুলো।
তবে এই বিষয়গুলো জানানোর বিষয়ে সিদ্ধান্তটা পুরোপুরি ব্যক্তিগত। এর ভালো বা খারাপ দুই দিকই রয়েছে। এ বিষয়টি নিয়েই আজকের এই আয়োজন।
>> সারাজীবন একসঙ্গে থাকবেন তাই সবধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনার মাঝখানে একদিন না একদিন এ প্রসঙ্গ উঠবেই। সে সময় মিথ্যে বলা বা সত্য গোপন করাটা ভবিষ্যতে ‘কাল’ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই সেই সম্ভাবনাকেই দূর করে দেয়াই ভালো। তাই সব চাইতে নিরাপদ উপায় হবু সঙ্গীকে বিবাহিত জীবন শুরু করার আগেই সবকিছু জানিয়ে দেয়া।
>> অতীত থাকাটাই স্বাভাবিক: নিজের অতীত স্বীকার করার আগে হবু সঙ্গীর অতীতকে মেনে নেয়ার মানসিকতা তৈরি করা জরুরি। আর তা বিয়ের আগেই তৈরি করতে হবে। কেননা বর্তমান যুগে বিয়ের আগে কারও সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকা খুবই স্বাভাবিক বিষয়।
>> শারীরিক সম্পর্কের পছন্দ-অপছন্দ: অতীত সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে হবু সঙ্গীর শারীরিক সম্পর্ক বিষয়ক পছন্দ-অপছন্দগুলো জানা যাবে। কিংবা ধারণা পাওয়া যাবে। শারীরিক সম্পর্ক সুখি দাম্পত্য জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
>> বিশ্বাস গড়তে সাহায্য করবে: ব্যক্তিগত জীবনের এক টুকরো গল্প হবু সঙ্গীর সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার মাধ্যমে সম্পর্কের মাঝে বিশ্বাসের ভীত আরো শক্ত হবে। প্রকাশ পাবে আপনার সততা। নিজের অতীতকে পেছনে ফেলে সামনে অগ্রসর হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ হবে হবু সঙ্গীর সামনে। আর আপনার সঙ্গী যদি তা মেনে নেয় তবে বুঝতে হবে একজন আদর্শ মানুষকেই সঙ্গী হিসেবে পেতে চলেছেন।
>> হবু সঙ্গীর অনুভূতি: নিজের অতীত সম্পর্কে জানানোর পর হবু সঙ্গী যদি বিষয়গুলোকে স্বাভাবিকভাবে নেয় তবে বুঝতে হবে মানুষ স্বাধীনচেতা। সে আপনার অতীতকে মেনে নিয়ে আপনি যেমন ঠিক তেমনভাবেই আপনাকে গ্রহণ করতে ইচ্ছুক।
>> অস্বাভাবিক আচরণ করলে: তবে হবু সঙ্গী যদি আপনাকে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করায় কিংবা আপনার অতীতকে সহজভাবে মেনে নিতে না পারে, সেক্ষেত্রে ওই সম্পর্ক থেকে সরে আসাই শ্রেয়।
Post a Comment