Odd বাংলা ডেস্ক: ওজন নিয়ে আমরা কম-বেশি সবাই চিন্তিত থাকি। বিশেষ করে স্বাস্থ্য সচেতন যারা, তারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেক কিছুই করেন। কিন্তু তারপরও দেখা যায়, জীবনযাপনে তেমন কোনো পরিবর্তন না হলেও অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ওজন বেড়ে যায়।
নিশ্চয়ই জানেন, অতিরিক্ত খাওয়া, বংশগত ব্যাপার কিংবা অসুস্থতা থেকে ওজন বাড়ে। তবে এসব সাধারণ কারণ ছাড়াও অন্যান্য কারণে ওজন বাড়তে পারে।
স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে হঠাৎ ওজন বাড়ার কয়েকটি কারণ সম্পর্কে জানানো হয়েছে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ওজন বাড়ার কারণগুলো-
অনিদ্রা
ঘুমচক্র ও ক্ষুধাভাব একে অপরের সঙ্গে জড়িত। ঘুমের স্বল্পতা খাবারের চাহিদা বাড়ায় এবং ওজন বৃদ্ধিতে প্রভাব রাখে।
নতুন ওষুধ
অনেক সময় কোনো ওষুধ গ্রহণ দেহের ওজনে হঠাৎ পরিবর্তন আনে। ঘুমের, হতাশা ও ব্যথানাশক ওষুধ ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
জলের স্বল্পতা
পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পানের অভাবে শরীর বাড়তি জল ধরে রাখার চেষ্টা করে। ফলে দেহে ফোলাভাব ও বাড়তি ওজনের সমস্যা দেখা দেয়।
পিরিয়ড
পিরিয়ডের হরমোন অনেক সময় অস্থায়ীভাবে দেহে জলের অভাব বাড়ায় ফলে ওজন বাড়তে পারে। তিন চার দিন পরে এই ফোলাভাব কমে যায়।
ধূমপান
ধূমপান ক্ষুধা নিবৃতির কাজ করে। হঠাৎ ধূমপান ছেড়ে দেয়া বা কমিয়ে দেয়া খাবার গ্রহণের পরিমাণ বাড়ায়, ফলে শরীরে বাড়তি ক্যালরি যোগ হয় ও ওজন বৃদ্ধি পায়।
অতিরিক্ত লবণ খাওয়া
অতিরিক্ত নোনতা খাবার খাওয়া শরীরে জলভাব বাড়ায় ফলে শরীরে অস্থায়ীভাবে ওজন বাড়ে। পর্যাপ্ত জল পান, নোনতা খাবার থেকে বিরত থাকা ও আঁশ-জাতীয় খাবার খাওয়া শরীর থেকে বাড়তি জল ও ওজন কমাতে সহায়তা করে।
কার্বোহাইড্রেইট
স্বল্প কার্বোহাইড্রেট-জাতীয় খাদ্যাভ্যাস যেমন-কিটো ডায়েট থেকে সাধারণ খাদ্যাভ্যাসের দিকে গেলেও ওজন বাড়তে পারে। কারণ কার্বোহাইড্রেইট কোষে বাড়তি জল ধরে রাখতে সহায়তা করে।
Post a Comment