পাঁচ খাবার বিষণ্ণতা বাড়ায়


Odd বাংলা ডেস্ক: বিষণ্নতা এক ধরণের মানসিক রোগ। আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা বিষণ্ণতায় ভোগেন। নানা কারণেই মানুষের মধ্যে এই বিষণ্ণতা সৃষ্টি হয়। দুর্বিষহ জীবন, অশান্তিবোধ, উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দের অভাব, মেজাজ খিটখিটে থাকা প্রভৃতি বিষন্নতার কারণ। এছাড়াও অনেক সময় শারীরিক রোগের কারণে বিষণ্নতা দেখা দিতে পারে।

তবে জেনে অবাক হবেন যে, খাবারের জন্যও বিষণ্নতা দায়ী। কিছু খাবার আছে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো আবার কিছু খাবার আছে যেগুলো স্বাস্থ্য ও মন দুটোই খারাপ করে দেয়। এমনি পাঁচটি খাবার আছে যেগুলো বিষণ্নতা বাড়ায়। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই খাবারগুলো সম্পর্কে-

ফাস্টফুড

ফ্রাইড চিকেন, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, ফ্রাইড ক্যালামারি, ফ্রাইড চীজ স্টিক ইত্যাদি এই ধরণের ফাস্টফুড বেশিরভাগ সময়য়েই হাইড্রোজেনেট তেলে ভাজা হয়। এতে ট্রান্স ফ্যাট যা বিষন্নতার জন্য বিশেষভাবে দায়ী। এছাড়াও এই ধরণের খাবারের স্যচুরেটেড ফ্যাট মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহের ধমনীতে ব্লকের সৃষ্টি করে।

অতিরিক্ত সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার

অতিরিক্ত সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার আমাদের নিউরোলজিক্যাল সিস্টেমের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে যা বিষণ্ণতার জন্য দায়ী। এছাড়াও একই কারণে দেহের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে, দুর্বলতা অনুভব হয় এবং শরীরে অতিরিক্ত জল চলে আসার সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

ক্যাফেইন

স্বাস্থ্য গবেষকদের মতে খুব সামান্য পরিমাণ ক্যাফেইনও বিষণ্ণতা রোগ এবং অল্পতেই দুশ্চিন্তা করার সমস্যায় ফেলে দিতে পারে। ক্যাফেইন আমাদের অনিদ্রার জন্য মূলত দায়ী থাকে। আর অনিদ্রার সমস্যা বেশি বেড়ে গেলে বিষণ্ণতা রোগ ভর করতে থাকে।

চিনি

চিনি এবং চিনি সমৃদ্ধ খাবার আমাদের রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা হঠাৎ করে বাড়িয়ে দেয় এবং এতে করে এক ধরণের ঘোরের মতো সৃষ্টি হয় যা আমাদের মনের উপরে প্রভাব ফেলে। এই প্রভাবটির কারণেই মন খারাপ হয়, শক্তি কমে যায় এবং ঘুমের সমস্যা তৈরি হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার

প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেট যেমন-পাউরুটি, সিরিয়াল, পাস্তা এবং অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত স্ন্যাকস জাতীয় খাবার যা আমরা নিয়মিত খেয়ে থাকি এগুলোও আমাদের রক্তের সুগারের মাত্রার উপরে প্রভাব ফেলে। হঠাৎ করে রক্তের সুগার মাত্রার উপরে প্রভাবের কারণে দুর্বলতা, খিটখিটে মেজাজ এবং মন খারাপ বা বিষণ্ণতায় পড়তে দেখা যায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.