‘এলিয়েন কন্যা’, পুরো শরীর নীল!

Odd বাংলা ডেস্ক: এ যেন এক এলিয়েন কন্যা! আপাদমস্তক তার নীল। একজন মানুষের শরীর কি কখনো নীল হয়! অবশ্যই না। জাতি ভেদে অবশ্য ফর্সা, কালো বা শ্যামলা হতে পারে। তাই বলে নীলচে ত্বক! সত্যিই অবিশ্বাস্য।

এলিয়েন কন্যা নামেই পরিচিত তিনি। নাম তার লুউরই লি। ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে বসবাস তার। কীভাবে তিনি নীল রঙের ত্বক পেলেন? তার মতে, আমি সবসময় নীলচে হতে চেয়েছিলাম। নীল রং আমার সবচেয়ে প্রিয়। ছোটবেলা থেকেই আমি নীর রঙা বিভিন্ন কার্টুন দেখতাম। তাদের শরীরের রং থাকায় আমিও ভাবতাম এমনটা যদি আমারো হতো। এখন আমি সত্যিই নীলাবরণ কন্যা হয়েছি। এটা আমাকে সত্যিই প্রশান্তি দেয়।

বুঝতেই পারছেন লুউরই কিন্তু আর পাঁচটা স্বাভাবিক মানুষের মতোই। ইচ্ছাকৃতভাবে সে তার ত্বকের রং নীল করেছে। আজকাল তো সবই সম্ভব! শরীরের রং বদলানো সে আর নতুন কি? ঠিক যেমন মাইকেল জ্যাকসন কালো থেকে সাদা হয়েছিলেন। লুউরইও ঠিক একইভাবে সাদা থেকে নীর রঙা হয়েছেন! তবে সাদা রংটি সবার চোখেই বেশ আর্ষণীয় হলেও নীল রং বেশ বেমানান। এজন্যই লুউরইকে দেখলে সবাই চমকে যান ও বিষ্ময় প্রকাশ করেন।

২০১৩ সালে লুউরই ‘বার্বি অব ব্র্যাডফোর্ড’ এক সংবাদের শিরোনাম হয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। এরপর বিগত এই সাত বছরের মধ্যেই তিনি নিজের পুরো শরীর নীলচে করেছেন! যেন মনে হয় নীল রঙে ডুব দিয়েছেন তিনি। সে সত্যিই বার্বি পুতুলের মতোই দেখতে। আর এ কারণেই পুতুলের মানুষ হিসেবে সবার প্রশংসা কুড়াচ্ছেন সেই তখন থেকেই। তার রুপের প্রশংসা করেন পুরো বিশ্ব। 

ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় এক নির্জন এলাকায় লুউরইর বসবাস। কারণ তিনি লোক সমাগমে থাকতে পারেন না। অ্যাগোরাফোবিয়া নামক জটিল এক রোগে ভুগছেন তিনি। মানুষ দেখলেই তিনি আতঙ্কিত বোধ করেন। এজন্যই একাকী থাকেন এই এলিয়েন কন্যা। প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে ও নৌকায় ভাসতে খুবই পছন্দ করেন তিনি। এবার তবে জেনে নিন লুউরই এর নীলচে শরীরের আসল রহস্য-

আসলে সে তার শরীরের রং আজীবনের জন্য পরিবর্তন করেননি। নীল রং মেখেই তিনি মনোবাসনা পূরণ করেন। লুউরই বলেন, আমার কাছে পর্যাপ্ত অর্থ নেই। এ কারণেই স্থায়ীভাবে ত্বকের রং পরিবর্তন করতে পারছি না। তাতে কি? আমি পেইন্টিংয়ের মাধ্যমেই এটি করে থাকি। জলে শরীর ভেজালেই আবার আসল গায়ের রং ফেরত পাই। যদিও আমি সস্তার মেকআপের মাধ্যমেই এমন একটি লুক তৈরি করে থাকি।

লুউরই তার মেকআপ ভিডিওগুলো নিজের ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করেন। তার পাঁচ হাজারেরও বেশি অনুসরণকারী রয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সে বেশ জনপ্রিয়। তবে সে তার ভক্তদের সঙ্গে চাইলেও দেখা করতে পারেন না। কারণ তার ওই রোগটি। গত ছয় বছর ধরে সে মানুষের সঙ্গ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। শুধু পরিবারের সদস্য ছাড়া অন্য কাউকে দেখলেই তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এলিয়েন কন্যা বলেন, এই রোগের পাশাপাশি আমি দ্রুত পূর্বের স্মৃতি হারিয়ে ফেলছি। চাইলেও আমি অতীতের অনেক কিছুই মনে করতে পারি না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.