বাঙালিদের ঠিকমতো ‘ইয়ে’ হয় না কেন?
Odd বাংলা ডেস্ক: যে কোনও গেরস্থ বাঙালির কাছে জানতে চান, তাঁর মূল সমস্যা কী? নিশ্চিতভাবেই ৯০ শতাংশ পেটে হাত দেবেন। মুখ বেঁকিয়ে বলবেন, ‘‘ঠিকমতো হচ্ছে না।’’ কিন্তু কেন হচ্ছে না, সেটাও তো ভেবে দেখা দরকার।মোটামুটি ছানবিন করে যা দেখা গিয়েছে, তাতে এহেন সমস্যার গোটাসাতেক কারণ বেরিয়ে এসেছে। কোষ্ঠকাঠিন্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আগে চিনে নিন কারণসমূহ।
১. খাদ্যতালিকায় ফাইবারের খামতি। ফাইবারযুক্ত খাবার না-খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য স্বাভাবিক। কিন্তু তেলে-মশলায় কষিয়ে চেটেপুটে খাওয়া বঙ্গসন্তানেরা খাদ্যতালিকায় হামেশাই ফাইবারযুক্ত খাবার বাদ দেন।
২. সুষম আহার। বাঙালি সুষম খাদ্য খায়, এমন ‘অভিযোগ’ অতি বড় শত্রুও করবে না। ডিম, মাছ, মাংস, চিজ খেলে পাশাপাশি যে সমপরিমাণে সব্জি বা ফল খাওয়া প্রয়োজন, সেটা ক’জন খেয়াল রাখেন? নিট ফল, সকালে বাথরুমে এক মহাসংগ্রাম!
৩.জল খান? ঘাড় নেড়ে বড় করে ‘‘হ্যাঁ’’ বলবেন না। কারণ, দিনে অন্তত চার লিটার জল খাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু ক’জন বাঙালি সেটা খান? দেখা গিয়েছে, বাঙালি দিনে গড়ে আড়াই লিটার জল খায়।
৪. আর একটি কথা। আপনি ফুর্তিবাজ বাঙালি। কেন আপনি ‘‘চাপ নিচ্ছেন’’? অকারণ টেনশন করায় বাঙালি কিন্তু একেবারে উপরের দিকে। অর্থাৎ, মানসিক চাপ গিয়ে পড়ছে পেটে।
৫. একটু ব্যাকটিরিয়া শরীরে ঢুকতে দিন। অবাক হবেন না। টক দই বা প্রোবায়োটিক্স আনুন খাদ্যতালিকায়। সকালে কাজে দেবে।
৬. ব্যায়াম করেন? ভূঁড়িদাস হয়ে বসে বসে মুড়ি-শশা চিবিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ে হা-হুতাশ করবেন না। একটু-আধটু শরীরচর্চাও করুন।
৭. শেষ কথা, একটু কমন সেন্স অ্যাপ্লাই করুন। কীরকম? ধরুন রাতে আচ্ছাসে খেলেন কোনও বিয়েবাড়িতে। বা, বাড়িতেই একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেল। ধপাস্ করে বিছানায় আছাড় খাবেন না। নাক ডেকে ভোঁসভোঁস করে ঘুমোলেই সকালে সেই সমস্যা।
Post a Comment