ধনী হতে চাইলে....

Odd বাংলা ডেস্ক: জীবনে অর্থ-বিত্তের মালিক হতে কে না চায়? তবে অর্থ-বিত্ত সবার হাতে ধরা দেয় না। বলা হয়ে থাকে, কপাল গুণে নাকি অর্থ-বিত্তের মালিক হন কেউ কেউ। যাহোক, পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও সঠিক পরিকল্পনা থাকলে জীবনে সফল হওয়া অসম্ভব কিছু না। তবে অনেকে আবার পরিশ্রম সত্ত্বেও এক্ষেত্রে সফলতা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এজন্য তাদের বেশ কয়েকটি বদভ্যাস ও ভ্রান্ত ধারণা দায়ী। যেসব কারণে মানুষ অর্থ-বিত্ত প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নিচে সেসব বিষয় নিয়েই আলোচনা করা হলো :  

জুয়া খেলার অভ্যাস : জুয়া খেলা মানে অর্থের অপচয়। আপনার যদি জুয়া খেলার অভ্যাস থাকে তাহলে তা কিভাবে আপনার অর্থের শ্রাদ্ধ করবে তা আপনি বুঝতেও পারবেন না। এ কারণে ধনী হওয়ার পথে এ অভ্যাসটি সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধক হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি অনেকটা নেশার মতো। তাই সহজে ত্যাগ করাও সম্ভব হয় না।

অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া : জাংক ফুড বা অস্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে পরিচিত বিভিন্ন খাবার স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করে। এসব খাবার প্রচুর অর্থেরও অপচয় করে। যারা নিয়মিত এসব খাবার খান তাদের স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এছাড়া পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ধনী মানুষেরা তাদের স্বাস্থ্যের প্রতিও যথেষ্ট যত্নবান। এ কারণে যাদের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তাদের ধনী হওয়ার সম্ভাবনাও কম।

অতিরিক্ত মদ্যপান : মদ্যপান মানুষের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। অন্যদিকে ধনী হওয়ার জন্য সুস্থ মস্তিষ্কের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এ কারণে ধনী হওয়ার প্রচেষ্টায় মানুষের অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হতে পারে মদ্যপান। তাই ধনী হতে চাইলে মদ্যপান বন্ধ করুন।

বিষাক্ত মানুষের সঙ্গ : অসুস্থ মানসিকতাসম্পন্ন মানুষের সঙ্গ সব সময়েই ক্ষতিকর। এটি মানুষের সঠিকভাবে চিন্তাভাবনার ক্ষমতা নষ্ট করে। তাই ধনী হতে চাইলে বিষাক্ত মানুষের সঙ্গ ত্যাগ করুন। নেতিবাচক চিন্তাধারার মানুষের বদলে ইতিবাচক চিন্তাধারার মানুষের সঙ্গে মিশুন।

অতিরিক্ত টিভি দেখা : টিভি দেখার জন্য প্রচুর সময় নষ্ট হয়। এ সময়টি কোনো ইতিবাচক কাজে ব্যবহার করলে তা যথেষ্ট কার্যকর হতে পারত। বিভিন্ন টিভি অনুষ্ঠানের পেছনে সময় ব্যয় করা উচিত নয়। সফল ব্যক্তিরা টিভি দেখে সময় ব্যয় না করে বরং টিভি অনুষ্ঠান তৈরিতেই সে সময়টি ব্যয় করেন। তাই ধনী হতে চাইলে অতিরিক্ত টিভি দেখা বাদ দিয়ে সময়টি সৃষ্টিশীল কাজে ব্যয় করতে হবে।

নেতিবাচক চিন্তাধারা : ইতিবাচক চিন্তাধারার মানুষই কেবল দীর্ঘমেয়াদে সাফল্য লাভ করেন। তাই আপনি যদি ধনী হতে চান তাহলে মানসিকতায় ইতিবাচক চিন্তাভাবনা যুক্ত করুন। মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন নেতিবাচকতা।

আলসেমি : সফল ও ধনী হওয়ার জন্য সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করার বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে আপনি যদি ধনী হতে চান তাহলে আলস্য বাদ দিতে হবে। আলসেমির কারণে বহু মানুষেরই প্রতিভা ধ্বংস হয়ে যায়। এটি মানুষের সৃজনশীলতা ও কর্মক্ষমতাকে অবমূল্যায়ন করে এবং সাফল্য বাধাগ্রস্ত করে।

অন্যের মতামত অগ্রাহ্য : কাজের ক্ষেত্রে অন্যের মতামত জেনে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আপনি যদি অন্যের মতামত গ্রহণ না করেন তাহলে তা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যেমন ব্যবসায় যদি আপনি ভোক্তার মতামত গ্রহণ না করেন তাহলে আপনার পণ্য চলবে না। একইভাবে অপরের সমালোচনাকে ভয় না পেয়ে সঠিকভাবে গ্রহণ করতে পারাটাও প্রয়োজনীয় বিষয়।

অতিরিক্ত ব্যয় : অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় অনেকেরই ধনী হওয়ার সম্ভাবনা নষ্ট করে। আপনি যত উপার্জনই করেন না কেন, তা ধরে রাখার উপায় জানতে হবে। অন্যথায় আপনার অর্থ কোনোভাবেই হাতে থাকবে না। সব অর্থ ব্যয় হয়ে যাবে।

অপ্রিয় কাজ করা : যা আপনার পছন্দ না সেসব কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। এমন কাজ করলে তা আপনার মানসিকতার ওপর প্রভাব ফেলবে। কাজটি পছন্দ না হলে তা আপনি মনোযোগ দিয়ে করবেন না। এতে কাজের মান খারাপ হবে এবং আপনার সামনে এগিয়ে যাওয়া থমকে যাবে।

আরামদায়ক গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকা : আরামদায়ক গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকা এড়িয়ে চলতে হবে। সফল ও ধনী হওয়ার জন্য সামনে এগিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। যদি একটি নির্দিষ্ট গণ্ডিতে আবদ্ধ থেকে যান তাহলে তা আপনার সামনে এগিয়ে যাওয়া রুদ্ধ করবে। তাই ধনী হওয়ার জন্য নিজের গণ্ডিতে আবদ্ধ না থেকে ক্রমাগত গণ্ডি থেকে বেরিয়ে যেতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.