৩৪ সেকেন্ডে ক্ষতস্থান জুড়ছে সাপের বিষ থেকে তৈরি 'সুপার গ্লু', উচ্ছ্বসিত চিকিৎসকরা
Odd বাংলা ডেস্ক: এক লহমায় প্রাণঘাতী হতে পারে। আবার প্রাণ ফিরিয়ে দিতেও জুড়ি মেলা ভার সাপের বিষ (Snake Venom)। এমনই এক প্রাণঘাতী সাপের বিষ থেকে তৈরি হচ্ছে নিমেষে রক্তপাত বন্ধ করার ওষুধ, ডাক্তারি পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে ‘সুপার গ্লু’ (Super Glue)। আর এতে করেই অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি কমিয়ে অপারেশন থিয়েটারে বিপ্লব আনা সম্ভব বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার ল্যানসেড স্নেক (Lansed Snake), যার বৈজ্ঞানিক নাম বোথ্রপস এট্রকস।এক এক ছোবলে মৃত্যু প্রায় নিশ্চিত। অথচ এই ভয়ঙ্কর সাপের বিষক ব্যবহার করেই তৈরি করা হয়েছে এমন এক জৈব আঠা, ক্ষতস্থান জুড়ে রক্তপাত বন্ধ করতে পারে নিমেষে।এখনও পর্যন্ত মাত্র ৩৪ সেকেন্ডে তা ইঁদুরের কাটা লেজ জুড়ে দিয়েছে। লিভারের দু’টো অংশ জুড়তে সময় নিয়েছে ৪৫ সেকেন্ড, মানে এক মিনিটেরও কম।
তবে শুধু ক্ষতস্থানে বা কেটে যাওয়া অংশে আঠা দিলেই হবে না, ক্ষতস্থানে জোরাল আলোও ফেলতে হবে। আলোর সঙ্গে মিশে কাজ করবে এই ‘সুপার গ্লু’। মশারির মতো জালিকা বানিয়ে রক্তপাতও বন্ধ করবে। বর্তমানে অস্ত্রোপচারের সময় সার্জনরা যে আঠা ব্যবহার করেন, তা রক্তপাত ঠেকাতে পাঁচ থেকে ছ’মিনিট সময় নেয়। ‘সুপার গ্লু’ সে কাজই করবে মাত্র ৩৪ থেকে ৪৫ সেকেন্ডের মধ্যে। এমন সঞ্জীবনীর সন্ধান পেয়ে চিকিৎসকমহল স্বাভাবিকভাবেই আশাবাদী।
এই সুপার গ্লু প্রাথমিক চিকিৎসাতেও 'গেম চেঞ্জার' হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের অনুমান, পথদুর্ঘটনায় জখম ব্যক্তির রক্তপাত আটকাতেও এই আঠা বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে। পিজি হাসপাতালের সার্জারির অধ্যাপক ডাঃ দীপ্তেন্দ্র সরকার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এবিষয়ে জানিয়েছেন, “সার্জারির ক্ষেত্রে রক্তপাত বন্ধ করাটা খুব বড় চ্যালেঞ্জ। এই ‘সুপার গ্লু’ সে ক্ষেত্রে আমাদের কাজ অনেক সহজ করে দিতে পারে। তবে দীর্ঘ হিউম্যান ট্রায়াল প্রয়োজন। প্রার্থনা করি, রোজকার জীবনে এই সর্পবিষের আঠা যেন আশীর্বাদ হয়ে ওঠে।”
Post a Comment