বাথরুমে স্নানের সময় বাইরে থেকে দেখা যাচ্ছে, যুবতীকে প্রতিবেশীর চিঠি

Odd বাংলা ডেস্ক: দরজার ফাঁক গলে ঘরে এসেছিল প্রতিবেশীর একটি সংক্ষিপ্ত চিঠি। সে চিঠি পড়তেই চোখ কপালে উঠে যাওয়ার জোগাড়! এক যুবতীর উদ্দেশে ওই চিঠিতে প্রতিবেশীর দাবি, বাথরুমের জানলা দিয়ে সব দৃশ্যই দেখা যায়। সামনাসামনি সে কথা বলে যুবতীকে লজ্জায় ফেলতে চাননি বলে চিঠিটি দরজার ফাঁক গলিয়ে ভিতরে ফেলেছেন। ম্যানচেস্টারের এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এই ঘটনা।

পেশায় সাংবাদিক সারা ইয়েটসকে ওই চিঠি লিখেছেন তাঁর প্রতিবেশী। যদিও নিজের নামপরিচয় দেননি পত্রলেখক। অজ্ঞাতপরিচয় পড়শির চিঠি পড়েই লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছেন সারা। তাঁর এক আত্মীয়ের সঙ্গে মিলে নতুন বাড়িতে এসে উঠেছেন তিনি। ওই আত্মীয়ের সঙ্গেই থাকেন তিনি। সম্প্রতি গ্রিসের রোডসে ছুটি কাটাতে গিয়েছেন সারা। সে সময়ই ওই চিঠিটি তাঁদের দরজার ফাঁক গলিয়ে কেউ ভিতরে পাঠিয়ে দেন। সারার আত্মীয় চিঠিটি তাঁকে গ্রিসে ছবি তুলে পাঠিয়েছেন। তাতে লেখা, ‘বাথরুমে ব্লাইন্ডস লাগানো উচিত। আপনার স্নানের সময় সব কিছুই দেখা যায়। তবে আপনাকে লজ্জায় ফেলতে চাই না বলে (বাড়ির) দরজায় টোকা দিইনি।’ চিঠিতে প্রতিবেশী নিজের নাম লেখেননি।

সারা জানিয়েছেন, বাড়িটি কেনার পর বাথরুমে নতুন জোরালো আলো লাগিয়েছিলেন। জানলার ঘষা কাচের ভিতর দিয়ে বাইরে থেকে কিছু দেখা যায় কি না, তা-ও বাগানে দাঁড়িয়ে পরীক্ষা করে দেখেছিলেন। ফলে নিশ্চিন্তই ছিলেন। তবে প্রতিবেশীর চিঠি পেয়ে লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছেন। সারার কথায়, ‘ভেবেছিলাম ঘষা কাচ দিয়ে আবছা অবয়ব দেখা গেলেও তা তেমন স্পষ্ট নয়। তবে বুঝতেই পারিনি যে সব কিছু দেখা যাচ্ছে।’  এত কিছুর পর এবার কি বাথরুমের জানলার কাচ পাল্টাবেন? সারা বলেছেন, ‘ছুটি কাটিয়ে ফিরে আসি। তার পর বাগানে কয়েকটা বড় বড় গাছ লাগাতে হবে। যাতে বাথরুমের ভিতরের দৃশ্য বাইরে থেকে দেখা না যায়।’

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.