বিশ্বের প্রথম লাইনবিহীন রেল ‘এআরটি’

Odd বাংলা ডেস্ক: সবচেয়ে প্রাচীন যোগাযোগ ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে রেলগাড়ি অন্যতম। এই রেলগাড়ির বিবর্তনের ইতিহাসও বেশ রোমাঞ্চকর। ধীরে ধীরে আধুনিকায়ন হয়েছে রেলগাড়ির। আর সেই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের প্রথম লাইনবিহীন রেল তৈরি করেছে চীন।

নিত্য-নতুন আবিষ্কার করে একের পর এক কাল্পনিক ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিয়ে বিশ্বকে তাক লাগাচ্ছে দেশটি। এবার রেললাইনবিহীন বিদ্যুৎচালিত বাস, ট্রাম এবং ট্রেনের সমন্বয়ে ‘অটোনোমাস রেল র‌্যাপিড ট্রানজিট’ (এআরটি) নামে এক বাহন আবিষ্কার করে চমক লাগিয়েছে বিশ্বকে।

পিচের রাস্তায় চলবে অত্যাধুনিক এই যানটি। এক কথায় চীনাদের যুগান্তকারী সৃষ্টি এটি। পৃথিবীর যে কোনো দেশের কাছে অবাস্তব হলেও চীন বলেই সম্ভব হয়েছে এমন আবিষ্কার। ৩০ মিটার লম্বা বাস-ট্রাম-ট্রেন ত্রয়ীর স্মার্ট ভার্সঙ্কে স্মার্ট বাস বলছেন চীনারা। রেললাইনবিহীন এই গাড়িতে প্রাথমিকভাবে ৩টি বগি থাকলেও প্রয়োজনে বগি কমানো বা বাড়ানো যাবে। প্রত্যেক বগিতে ১০০ জন করে মোট ৩০০ যাত্রী বহন করা যাবে। ‘অটোনোমাস রেল র‌্যাপিড ট্রানজিট’ বা ‘এআরটি’কে বিশ্বের প্রথম ‘লাইনবিহীন রেলগাড়ি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এটিকে তারা বলছেন স্মার্ট বাস। যা বিস্ময় জাগিয়েছে বিশ্ববাসীর। 

এটি চালাতে নতুন রাস্তা কিংবা আলাদা কোনো ট্রাকের প্রয়োজন পড়বে না। চার্জ দেয়া অবস্থায় ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার বেগে ৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারবে। ‘চৌকস’ বা ‘স্মার্ট’ এ গাড়ি চালানোর জন্য প্রয়োজন পড়বে না কোনো চালক।  

সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, এআরটি চালানোর জন্য নতুন সড়ক তৈরির কোনো প্রয়োজন হবে না। তাই এটি মেট্রো বা ট্রামের চেয়েও সস্তা হবে বলে দাবি করেছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিআরআরসি। গত ২ জুন চীনের হুনান প্রদেশের জুঝাওয়ে এই নতুন যান উন্মোচন করা হয়। মূলত চীনজুড়ে ট্রাফিকের গতি বাড়াতেই এটি চালু করেছে চীনা সরকার।  


যেখানে এক কিলোমিটার মেট্রো রেলপথ নির্মাণে ১০ কোটি ২০ লাখ ডলারের প্রয়োজন পড়ে। তবে মানসম্পন্ন এআরটি গাড়ি নির্মাণে ব্যয় হবে মাত্র ২০ লাখ ডলার। আর এর মাধ্যমে বহুল প্রচলিত ‘লাইন ছাড়া চলে না রেলগাড়ি’ গানের দিন সত্যিই ফুরাতে চললো। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.