‘স্যান্ডউইচ’ খাবার নয়, একটি পাখির নাম!
Odd বাংলা ডেস্ক: স্যান্ডউইচ নামটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে, দুটি পাউরুটির মাঝখানে মাংসের পুরভরা লোভনীয় একটি স্ন্যাক্সের কথা। কিন্তু এখানে এই খাবারটির কথা চিন্তা করলে ভুল করবেন। কারণ আজকের প্রতিবেদনে খাবার নয়, আলোচনা করা হচ্ছে স্যান্ডউইচ নামের একটি শান্ত পাখি সম্পর্কে।
মাঝারি আকারের Thalasseus sandvicensis পরিবারের ভোকাল পাখি স্যান্ডউইচ। পিঠে, ডানায় ও উপরের অংশ ফ্যাকাশে ধূসর রঙের হলেও গলা-বুক ও দেহতলের পালক সাদা। ছোট কালো পায়ের স্যান্ডউইচের দু’পাশের পালকও কালো। এদের ঠোঁটটিও কালো। এরা লম্বায় ৩৫ থেকে ৪৫ সেন্টিমিটার।
মূলত ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ, উত্তর-পশ্চিম আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, পশ্চিম আফ্রিকা, ভূমধ্য অঞ্চল ও গ্রেট ব্রিটেনে দেখা মেলে স্যান্ডউইচদের। সাদা মুকুট, কালোক্যাপ ও কপালে সাদা জলজলে কালোটুপি এই তিন প্রকারের স্যান্ডউইচ দেখা যায় বিভিন্ন দেশে।
গড়নে ছোট-মাঝারি। ধূসর শান্ত স্বভাবের পাখি স্যান্ডউইচ। হাওর-বাঁওড়েও দেখা যায় এদের। তবে উপকূলীয় নদ-নদীর বুক চিরে জেগে ওঠা চর-মোহনায় কিংবা খোলা ডিঙ্গিতে বের হলেও দেখা মিলে এ পরিযায়ী পাখিটির। নিমিষেই আপনার চোখে প্রশান্তি দিবে গাছপালাশূন্য নদীর চড়া এলাকায়, আঁকাবাঁকা বয়ে যাওয়া খালে কিংবা ডুবোচরে পুতে রাখা বাঁশের খুটায় বসে থাকা ধূসর রঙের এই স্যান্ডউইচ পাখিটি।
স্যান্ডউইচ দেখতে গাংচিলের মতো মনে হলেও আকৃতিতে ছোট-মাঝারি। চালচলনে গাংচিলের চেয়ে শান্ত। এই পাখিরা খাবারের খোঁজে উপকূলীয় নদ-নদী, বালুকাবেলায়, জেলে পল্লীর আশপাশে কিংবা চরের কৃষি জমিতে ছুটে আসে। নদ-নদীর ছোট মাছ, ছোট কাঁকড়া, বালুচরের পোকামাকড় এদের প্রধান খাদ্য। এরা নোনা জলেই স্বাচ্ছন্দভাবে বিচরণ করতে ভালোবাসে। নরম ক্রিক-ক্রিক সুরে ডাকাডাকি করে। শান্ত বলেই হয়তো কেউ এদেরকে তেমন একটা বিরক্তও করে না।
Post a Comment