Odd বাংলা ডেস্ক: প্রতিটি মানুষ মরণশীল। ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীতে স্থায়ী নয় কেউ-ই। তবে মানুষ মারা গেলে তাদের পরিবার কিংবা কাছে লোক তাদের স্মৃতি ভুলতে পারে না। কাছের মানুষের স্মৃতি মুছে দেওয়া কঠিন। যতদিন বেঁচে থাকা, ততদিনই স্মৃতি আঁকড়ে ধরা রাখা। সেই স্মৃতির সঙ্গে দিনরাত হারিয়ে যাওয়া প্রিয়মানুষকে আগলে রাখার চেষ্টা। ঠিক একরমই ভাবনা চিন্তাকেই একেবারে সৃষ্টিশীল করে তুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার এক নারী।
নাম জ্যাকুই উইলিয়ামস। ২৮ বছর বয়সী এই নারী পেশায় একজন জুয়েলারি ডিজাইনার। তবে এখন তিনি পরিচিত একেবারে অন্যনামে। প্রিয় মানুষকে কাছে রাখার মাস্টার হিসেবেই তিনি এখন গোটা বিশ্বে পরিচিত। আর এটি তিনি করে থাকেন গয়না তৈরি করার মাধ্যমে।
ডিজাইনার জ্যাকুইয়ের কাছে সাধারণ গয়না এখন একেবারেই অচল। বরং গয়না এমন হওয়া দরকার যার সঙ্গে কোনো গল্প বা স্মৃতি আটকে থাকে। এমনটাই মত জ্যাকুইয়ের। তাই জ্যাকুই গয়না তৈরির ব্যাপারে বেছে নিলেন মৃত মানুষের দাঁত, নখ, চুল এমনকি হাড়ও ব্যবহার করা হচ্ছে গয়না তৈরিতে। তবে হঠাৎ এমন গয়না তৈরি করার পরিকল্পনা কেন যানতে চাওয়া?
জ্যাকুই জানিয়েছেন, 'আসলে প্রিয় মানুষেরা যখন আমাদের ছেড়ে চলে যায়, সাধারণত আমরা তাদের ছবি দেখেই স্মৃতি মনে করি। তবে ছবিতে কী সেই মানুষটির স্পর্শ থাকে! এই চিন্তা থেকে তার মাথায় আসে, যদি মৃতের শরীরের কোনো অংশ যা নষ্ট হবে না এবং স্মৃতিকেও ধরে রাখতে পারবে তা দিয়ে গয়না বানানো যেতে পারে। ঠিক এই ভাবনা থেকেই গয়না বানানোর পরিকল্পনা।
তিনি আরো বলেন, 'প্রথমে চেনা কিছু মানুষদের নিয়ে কাজ শুরু করেন। প্রথম দিকে মৃতের দাঁত ও চুল ব্যবহার করেই গয়না তৈরি করা হতো। যেমন আংটি, নেকলেস, কানের দুল আরো অনেক কিছু। তবে এখন ক্রেতা যেরকমভাবে বলেন, সেটাই করে দেয়া হয়।
একথা বলতে গিয়েই ডিজাইনার এক অদ্ভুত ঘটনার কথা জানান। জ্যাকুই বলেন, 'এক ক্রেতার দাদু মাথায় বন্দুক চালিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি মৃতের মাথার খুলিতে আটকানো সেই গুলি দিয়েই একটি আংটি বানিয়ে ক্রেতাকে দিয়েছি!
জানা গিয়েছে, জ্যাকুইয়ের তৈরি করা এই গয়নাগুলো অনেকে গায়ে পরেন। অনেকে শুধুই কাচের আলমারিতে রেখে দেন প্রিয়মানুষের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে।
Post a Comment