সাবধান, পৃথিবীতে এবার মহাপ্রলয় ! ভয়ঙ্কর বন্যা ধ্বংসের মুখে পৃথিবী !
Odd বাংলা ডেস্ক: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীতে হঠাৎই বদলে যাচ্ছে আবহাওয়া। যার ফলে বিশ্বের অনেক দেশে প্রায়ই প্রাকৃতিক দুর্যোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম বন্যা।
তবে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি চাঁদের প্রভাবে ২০৩০ সালে পৃথিবীতে ‘রেকর্ড ফ্লাডিং’ অর্থাৎ ভয়াবহ বন্যা হতে পারে। রেকর্ড ফ্লাডিং বলতে সেই বন্যা পরিস্থিতিকে বোঝায়, যা কার্যত এতদিন দেখা যায়নি। এই বন্যার প্রভাব যথেষ্ট বিধ্বংসী হতে পারে।
নাসার এই গবেষণাপত্র ন্যাচার ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালে প্রকাশ করা হয়েছে। মহাকাশ সংস্থাটি জানিয়েছে, পৃথিবীকে প্রদক্ষিণের পথে সাড়ে ১৮ বছরের একটি ‘ওয়াবল’ চক্র রয়েছে চাঁদের। এই সাড়ে ১৮ বছরের অর্ধেক সময় চাঁদের জন্য পৃথিবীর সব সমুদ্র, মহাসাগরে জোয়ারের পরিমাণ ও প্রাবল্য বেশি হয় ভাটার চেয়ে। চক্রের বাকি অর্ধেক সময় উল্টোটা হয়। পৃথিবীর সব সমুদ্র, মহাসাগরে ভাটার পরিমাণ ও প্রাবল্য বেশি হয় জোয়ারের চেয়ে।
চাঁদ কক্ষপথে এখন যে পর্যায়ে রয়েছে তাতে পৃথিবীর সব সমুদ্র, মহাসাগরে ভাটার পরিমাণ ও প্রাবল্য একটু বেশি জোয়ারের চেয়ে। কিন্তু ২০৩০ সালে এর বিপরীত পর্যায় দেখা যাবে। যার ফলস্বরূপ বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, দুর্যোগের পরিমাণ বাড়তে পারে।
নাসার মতে, ‘নুইস্যান্স ফ্লাড’ নামের এ ধরনের বন্যা বর্তমানে শুধু উপকূলবর্তী এলাকায় দেখা যায়। এ বন্যায় পানির স্তর ২ ফুট পর্যন্ত বেড়ে যায়। এই নুইস্যান্স ফ্লাড বা বন্যা ২০৩০ সালে ঘনঘন হবে। যা অতীতের রেকর্ড ভেঙে চুরমার করতে পারে। চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ২০৩০ সালে কয়েকগুণ বেড়ে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বিশ্ব জুড়ে। ফলে ভেসে যেতে পারে সমুদ্র সংলগ্ন বহু এলাকা।
পৃথিবীতে চাঁদের প্রভাবে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিতে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে এই গবেষণার মূল বিজ্ঞানী ফিল থম্পসন বলেন, চাঁদের ওয়াবল চক্র শুরু থেকেই রয়েছে। কিন্তু পৃথিবীতে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রের পানির স্তর ক্রমবর্ধমানভাবে বেড়ে চলেছে। আর এর সঙ্গে ২০৩০ সালে চাঁদের ওয়েবল চক্র একত্রিত হওয়ার দরুন বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। ফলে সময় থাকতেই এই বিষয়ে উপকূলবর্তী শহরগুলোতে সাবধানতা অবলম্বন প্রয়োজন।
Post a Comment