পুরুষের হাতের স্পর্শে সত্যি মেয়েদের এই অঙ্গ বড় হয় ?

Odd বাংলা ডেস্ক: প্রাকৃতিক নিয়মে শরীরের অনেক অঙ্গই বয়স বাড়ার সাথে বৃদ্ধি পেতে থাকে, কিন্তু যখনই মহিলাদের স্তনের ব্যাপার আসে তখন সবার মুখ বন্ধ হয়ে যায়, কারণ এর সদুত্তর অনেকের কাছেই থাকে না। যুগ যুগ ধরে নারী শরীর নিয়ে ছেলেদের আগ্রহের কোনো শেষ নেই। অনেক ছেলের মনেই এই প্রশ্ন বিভিন্ন সময় এসে থাকে যে, হাত দিয়ে স্পর্শ করলে মেয়েদের স্তন কি সত্যিই বৃদ্ধি পায়? আপনার মনেও যদি এরকম কোনো প্রশ্ন এসে থাকে তাহলে দেরি না করে নিচের নিবন্ধটি সবটা পড়ে ফেলুন। আমরা চেষ্টা করেছি সেই সমস্ত কারণগুলি খুঁজে বের করার, যে কারণগুলির জন্য মহিলাদের স্তন বৃদ্ধি পায়। আসুন দেখে নেওয়া যাক -
মেয়েদের শরীরের বিকাশ ছেলেদের তুলনায় দ্রুত হয়- বেশিরভাগ মেয়ের ক্ষেত্রেই ৮ বছর বয়স থেকে শরীরে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ হওয়া শুরু হয় এবং স্তন বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, কিন্তু এরপর আগামী ৫ বছর স্তনের আকৃতিতে বিশেষ কোনো পরিবর্তন দেখা যায় না। সেক্ষেত্রে ছেলেদের শরীরে পরিবর্তন অনেক পরে আসতে শুরু করে।

গার্লফ্রেন্ডের স্তন টিপলেও কি বৃদ্ধি পাবে? কিছু ছেলে মেয়ে প্রেমের সম্পর্কে আসার পর শারীরিক সম্বন্ধ তৈরি করে এবং গার্লফ্রেন্ড ও বয়ফ্রেন্ড দুজনেই ভাবে যে, স্তন টিপলে তার আকার বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু সকলেই এই মিথ্যে ধারণা মনের মধ্যে পুষে রেখেছে। স্তন টিপলে কোনোভাবেই তা বৃদ্ধি পায় না, তবে দীর্ঘকাল যাবত্‍ শারীরিক সম্পর্ক করলে স্তনের আকারে সামান্য পরিবর্তন আসতেই পারে।

এই ব্যাপারটিতে অবশ্যই গুরুত্ব দেবেন- ফিজিক্যাল হওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন যে গার্লফ্রেন্ড যদি স্তন প্রেস করতে বাধা দেয় তাহলে তাকে বাধ্য করবেন না এটি করতে দেওয়ার জন্য, কারণ মহিলাদের শরীরে আরও অন্যান্য অঙ্গ থাকে যেগুলি ছুঁলেও সে উত্তেজিত হয়।

বিয়ের পর স্তনের আকারে আসে পরিবর্তন- বিয়ের সাথে স্তনের আকার বৃদ্ধি পাওয়া সরাসরিভাবে যুক্ত নয় কিন্তু বিয়ের পর দেখা যায় অধিকাংশ মহিলারই স্তনের আকার বৃদ্ধি পায়। বিয়ের পর একাধিক কারণে স্তন বৃদ্ধি পায়, সে ব্যাপারে নিচে আলোচনা করা হয়েছে। আপনাদের একটি বিশেষ ব্যাপার জানিয়ে রাখি যে, সুস্থ-স্বাভাবিক মহিলাদের ক্ষেত্রে স্তনের আকার ২১ বছর বয়স অবধিই বৃদ্ধি পায়।

কিছু মেয়েরা যখন একা থাকে তখন তাদের নজর নিজেদের বক্ষের উপর পরে এবং তারা সেটি টেপা শুরু করে যাতে সেটির আকার বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এটি একটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে কোনোক্ষেত্রেই এমনটা হয়নি যে, টেপার ফলে স্তনের আকার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে হ্যাঁ নিয়মিত নিয়ম মেনে ম্যাসাজ করলে স্তনের আকারে সামান্য পরিবর্তন আসে, যা বেশ সময়সাপেক্ষ।

বৈজ্ঞানিকদের গবেষণায় জানা গেছে যখন মহিলারা শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয় তখন তারা খুবই উত্তেজিত থাকে, এই উত্তেজনার কারণে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে রক্ত সঞ্চালনের পরিমাণ বেড়ে যায় যার ফলে স্তনের আকৃতি বৃদ্ধি পেতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে মহিলাদের শরীরে যথেষ্ঠ উত্তেজনার প্রয়োজন।

স্থূলতার কারণে বৃদ্ধি পায় স্তন- কোনো মহিলার শরীরে যখন অতিরিক্ত মেদ জমতে শুরু করে তখন তার প্রভাব স্তনের আকারের পরেও। কারণ শরীরের অতিরিক্ত মেদ স্তনে জমতে শুরু করে।

হরমোনঘটিত সমস্যা- নারী শরীরের বিকাশের জন্য দায়ী প্রধান দুটি হরমোন হল, ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন। বিভিন্ন বয়সে এই দুই হরমোনের অনিয়মিত ক্ষরণের ফলে স্তনের আকারে পরিবর্তন আসে।

কিছু মহিলা আছেন যারা স্তনের বৃদ্ধি ঘটানোর জন্য নানারকমের ওষুধ এবং ক্রিমের ব্যবহার করেন, কিন্তু সবশেষে ব্যর্থ হন। স্তনের আকার বৃদ্ধি রাতারাতি করতে হলে সেলিব্রিটি অভিনেত্রীদের মতো ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট করা ছাড়া কোনো উপায় নেই, তবে এই কাজ যথেষ্ঠ ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ এ থেকে ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর অন্য পদ্ধতি হল সময়সাপেক্ষ, ডাক্তারের পরামর্শ মত ক্রিম বা তেল ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ম্যাসাজ করতে হবে।

এই কারণেও বৃদ্ধি পায় স্তন- কোনো মহিলা ভারী কোনো জিনিস নিয়মিত ওঠালে বা বিয়ের পর গর্ভবতী থাকাকালীন এবং সন্তানকে স্তনপান করানোর সময় এর আকার বৃদ্ধি পায়। যেসব মহিলারা নিয়মিত শারীরিক কসরত করেন তাদের স্তনের আকৃতি পালটে গিয়ে আরও আকর্ষক হয়ে যায় কিন্তু আকার একই থাকে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.