Odd বাংলা ডেস্ক: আমাদের দেশে বহু প্রাচীন কাল থেকেই অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেবার প্রথা প্রচলিত আছে। এমনকি অতিতে ১০-১২ বছর বয়সী মেয়েদের বিয়েও দিয়ে দেওয়া হতো। এই নিয়ে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সহ বহু মনীষী অনেক লড়াই করেছেন।
আজ স্বাধীনতার বহু বছর পরেও যে এই প্রথার খুব একটা উন্নতি হয়েছে তা নয়। এখনও আমাদের দেশের বহু জায়গায় দেখা যায় পুরুষরা অল্প বয়সী মেয়েদের বিয়ে করতেই বেশী পছন্দ করে। তার বিশেষ কিছু কারণও রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই কারণগুলি।
১. আধিপত্ত – সমাজবিজ্ঞানীদের মতে পুরুষেরা সর্বত্র আধিপত্ত বিস্তারে অভ্যস্ত, আর তাদের এই আধিপত্ত বিস্তারের যে চর্চা তা থেকে তাদের পরিবার এবং পরিবারের বাইরের সদস্যরাও বাদ যায় না। আর আমাদের পুরুষশাসিত সমাজে স্ত্রীর উপর স্বামীদের আধিপত্ত বিস্তার অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি ঘটনা। তাই অল্পবয়সী মেয়েদের সাথে বিবাহবন্ধনে আগত হতে তারা বেশি সাচ্ছন্দ বোধ করে।
২. ২০ তেই বুড়ি – আমাদের দেশে পুরুষদের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা লাভ করতে বয়স প্রায় ৩০ এর কোঠায় গিয়ে পৌঁছায়। আর আমাদের সমাজের প্রচলিত ধারণা যে মেয়েরা ২০ তেই বুড়ি হয়ে যায়। তাই স্বাভাবিকভাবেই স্বামী ও স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান আমাদের সমাজে অনেক বেশি।
৩. অস্বস্তিবোধ – পুরুষেরা তাদের সমবয়সী মেয়েদের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে অস্বস্তিবোধ করে। পুরুষের সমযোগ্যতা সম্পন্ন নারীদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এই ধারনাই পুরুষকে তার চেয়ে কম বয়সী নারীকে বিয়ে করতে উদ্বুদ্ধ করে।
৪. দীর্ঘ ও সুখের জীবন – সাধারণত ৪০ এর পরে অধিকাংশ নারীদের যৌ ন আবেদন ধীরে ধীরে স্থিমিত হতে থাকে। কিন্তু পুরুষদের যৌ নকাঙ্ক্ষা আরও দীর্ঘ সময় বজায় থাকে। তাই সমবয়সী নারীদের বিবাহে অনেক পুরুষদেরই অনিহা রয়েছে। তাদের ধারণা অল্প বয়সী মেয়েদের বিয়ে করলে তারা দীর্ঘ ও সুখের যৌ ন জীবন লাভ করতে পারে।
৫. ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা – পুরুষদের একটি বর্ধনীয় ধারণা যে তারা যখন বৃদ্ধ হয়ে যাবে তখন তাদের পরিচর্চা করবার মতন কেউ থাকবে না। এমনকি সন্তানেরাও তাদের পরিচর্চা করতে নাও পারে। তাই কমবয়সী স্ত্রী এই সমস্যার সমাধান। তাদের ধারণা স্ত্রীরা তাদের যথাযত পরিচর্চা করতে কখনোই অস্বীকৃতি জানাবে না।
Post a Comment