মিলনের সময় ‘নোংরা’ কথায় শিহরিত হয় মেয়েরা, কী সেই কথা?

Odd বাংলা ডেস্ক: সেক্স আরও জমে যায়, যদি পুরুষরা তাদের সঙ্গিনীদের উদ্দেশে অশ্লীল কথা বলে। ‘ফোর্কটিপ ডট কম’ শীর্ষক একটি ওয়েবসাইটের সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য।

ব্রিটেনে এই সমীক্ষাটি চালানো হয়েছিল পাঁচ হাজার নারী-পুরুষকে নিয়ে। সেক্সের সময় কী ধরনের নোংরা কথা বললে মেয়েরা শিহরিত হয়? জানা যাচ্ছে, যে কথা মেয়েরা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে, তা হল ‘তোমার যোনিটা খুব সুন্দর।’

এই কথায় সবচেয়ে খুশি হন মধ্যবয়স্ক মহিলারা বিশেষত যাঁরা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। কারণ, তাঁদের যোনি শিথিল হয়ে যায়। তাই পুরুষসঙ্গীরা যদি ওই কথা বলে, তা হলে তাঁরা খুশি হন। আরও যে দু’টি কথা মেয়েদের শিহরিত করে, তা হল ‘তোমার স্তন কী নরম’ এবং ‘তোমার ঠোঁট খুব রসালো’।

এ ছাড়াও যে কথাটি মেয়েরা খুব পছন্দ করে, তা হল— ‘তুমি খুব সেক্সি!’ মেয়েরা চায় তার সঙ্গী লম্বা ও পেশিবহুল হবে। ভুঁড়িওয়ালা পুরুষদের বিছানায় নিতে মেয়েরা পছন্দ করে না। বড় ও মোটা পেনিস দেখতে মেয়েরা ভালবাসে। অন্যদিকে, পুরুষরা মেয়েদের বড় স্তন দেখলে খুশি হয়। স্তন ছাড়াও পুরুষদের আকর্ষণের কেন্দ্রে রয়েছে মেয়েদের বড় নিতম্ব।

সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ব্রিটিশ মেয়েদের একাংশ ওপেন সেক্স করতে পছন্দ করে। অর্থাৎ খোলা আকাশের নীচে নির্জন সমুদ্র সৈকত, পাহাড়ের কোল, জঙ্গল, সুইমিং পুল— যৌন মিলন করার জন্য তাদের পছন্দের জায়গা।

ঘরের মধ্যে যৌনতার সময়ে আলো জ্বালতে মেয়েরা পছন্দ করে না। তবে ঘর এক্কেবারে অন্ধকার করে দেওয়াও পছন্দ নয় তাদের। বরং মেয়েরা চায় সেক্সের সময় ঘরের ভিতর জ্বলুক নাইট বালব। নাইট বালবের হালকা আলোয় পুরুষসঙ্গীর নগ্ন দেহ তার সামনে মোহময় হয়ে ওঠে। ক্রমশ কাছাকাছি আসা এবং দোঁহে মিলে এক হয়ে যাওয়া এনে দেয় স্বর্গসুখ।

আমি তো অবুঝ দুধের বাচ্চা, শুয়েই থাকো তুমি!

স্বামী ভোরবেলা স্পোর্টস ট্রাউজার-কেডস পরে জগিংয়ে যাচ্ছে। কী মনে করে স্ত্রীকেও সঙ্গে নিতে চাইলো। ঘুমে বিভোর স্ত্রীকে জাগিয়ে বললো- চল, জগিং করতে যাই।

স্ত্রী: জগিং করার দরকারটা কী পরলো এই সকাল সকাল! স্বামী: মন চাঙ্গা থাকে সারাদিন আর শরীরের চর্বিও ঝড়ে যায়। স্লিম স্বাস্থ্যের সহায়ক জগিং।

স্ত্রী : ও…ও…ও! তার মানে তোমার চোখে আমি এখন মুটকি হয়ে গেছি, তাইনা? স্বামী: না না! কথা সেটা না। এমন হাল্কা ব্যায়াম তো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

স্ত্রী: তার মানে আমার শরীর অসুস্থ! তোমার বোঝা হয়ে গেছি এখন! স্বামী: না না,তা বলবো কেন? আচ্ছা তুমি যেতে যখন চাওনা তখন থাক।

স্ত্রী: তার মানে আমি অলস, কুঁড়ের বাদশা! নড়তে-চড়তে চাই না- এটাই তো বলবে এখন সবাইকে? তারপর সুযোগ তৈরি করবে আরেকটা… স্বামী: ওহ হো! তুমি আমাকে বুঝতে পারছো না।

স্ত্রী: আমি তো অবুঝ, দুধের বাচ্চা! তোমার প্যাঁচ ধরতে পারবো না! স্বামী: আমি আসলে তা বলিনি কিন্তু…

স্ত্রী: তাহলে এখন আমি মিথ্যুক! হায় খোদা! কার সঙ্গে সংসার করছি এত দিন? স্বামী: সকাল সকাল শুরু করে দিলে ৫২ পর্বের সিরিয়াল? দয়া করে থাম এবার প্লিজ, শুয়েই থাকো তুমি।

স্ত্রী: হ্যাঁ, আমি তো ঝগড়াটে। সকাল থেকেই কাইজা শুরু করি তোমার সঙ্গে। আমি ঘুমিয়ে থাকলেই তুমি শান্তি পাও! স্বামী: হায় আল্লাহ! কী মুসিবতে পড়লাম। আচ্ছা, আমি যাবো না জগিংয়ে।

স্ত্রী: মনের ইচ্ছা লুকিয়ে রাখ কেন? তোমার নিজেরই তো আসলে ইচ্ছে নেই যাওয়ার, আর আমার ওপর দোষ চাপাচ্ছো এখন।স্বামী: ওকে, ঠিক আছে বাবা। তুমি ঘুমাও এবার, আমি একাই চললাম।

স্ত্রী: তুমি তো সব সময় একা একাই থাকতে চাও। মৌজ-স্ফূর্তি সব একাই করলে জীবনে। আমি তোমার কে! স্বামী: উফফ, এবারকার মতো মাফ করে দাও! দয়া করো, প্লিজ। আমার মাথা ঘোরাচ্ছে।

স্ত্রী : মাথা তো ঘুরবেই এখন। পার্কে একা একা জগিংয়ের ছলে বেহায়া মেয়েছেলেগো দেখার সুযোগ নষ্ট হলো যে… পুরুষগুলা এমনই হয় কেন প্রভু… স্বামী বেচারা গত এক সপ্তাহ ধরে ভাবছে: আচ্ছা, দোষটা কী করেছিলাম! ভুলটা কী ছিল আমার?

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.