মাত্রাতিরিক্ত হাসছেন? জানেন, এই হাসির কারণেই হতে পারে আপনার মৃত্যু

Odd বাংলা ডেস্ক: হাসলে শরীর, মন, সবই ভাল লাগে। এতদিন তো সেই কথাই শুনে এসেছেন। তাই তো শত দুঃখের মধ্যেও মানুষ কিছুক্ষণ অন্তত হাসার চেষ্টা করেন। যেখানে একটা মিষ্টি হাসিতে যে কোনও কঠিন কাজ হয়ে যায়, সেই হাসি নাকি প্রাণঘাতীও হতে পারে। অবাক লাগলেও কথাটা সত্যি। হাসতে হাসতে প্রাণ যাওয়ার ঘটনার সংখ্যা বিশ্বজুড়ে মন্দ নয়। তবে ঠিক হাসি মৃত্যুর কারণ নয় হাসতে হাসতে শরীরে যে প্রভাব পড়ে তার কারণে মৃত্যু হতে পারে।আসুন দেখে নেওয়া যাক অতিরিক্ত হাসার ফলে কী কী সমস্যা হতে পারে-

হাঁপানি

অতিরিক্ত হাসার কারণে হাঁপানি হতে পারে। তবে শুধু হাসিই নয় অতিরিক্ত কান্না, চিন্তা, উত্তেজনার কারণেও হাঁপানি হতে পারে। অনেকেরই হালকা হাঁপানির সমস্যা থাকে। আর সেই অবস্থায় অতিরিক্ত হাসলে হাঁপানি বেড়ে যায়। ভয়ানক শ্বাসকষ্ট হয়। তড়িঘড়ি চিকিৎসা করা না হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

জিলাস্টিক সিজার

ভয়ানক হাসির রোগের নাম জিলাস্টিক সিজার। সদ্য সিজার হযেছে এমন রোগীর মধ্যেই এই সমস্যা দেখা যায়। অকারণে অস্বাভাবিক শব্দ করে হাসতে থাকেন রোগী। সেই হাসি আনন্দের থেকে অনেক বেশি কষ্টের। টানা এক মিনিট পর্যন্ত রোগী হেসে যেতে পারেন। হাসির উপর তাঁর কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না। হাসি থামলে শরীরে ভয়ানক কষ্ট হয়। ব্রেন টিউমারের কারণে জিলাস্টিক সিজারে আক্রান্তের সম্ভাবনা থাকে।

হঠাৎ জ্ঞান হারানো বা সিনকোপ 

সিনকোপ হল সাময়িকভাবে জ্ঞান হারানো। মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক না হলে এই সমস্যা দেখা যেতে পারে। সাধরাণত লো ব্লাড প্রেশারের কারণেই এই সমস্যা হয়। এর জেরে হার্টে রক্ত চলাচল, ডিহাইড্রেশন, শ্বাসকষ্ট এবং অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে। এবং এই সিনকোপের কারণ হতে পারে অতিরিক্ত কাশি অথবা হাসি। মানে প্রয়োজনের থেকে বেশি জোরে জোরে দমবন্ধ হাসির ফলে আপনি ফট করে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। শুনতে হাস্যকর লাগলেও এর থেকে মারাত্মক হার্টের অসুখ হতে পারে। এবং এর ফলে হতে পারে মৃত্যুও। তবে সবসময় সিনকোপ মানেই যে মৃত্যু তা নয় তবে দীর্ঘকালীন হার্টের অসুখ শুরু হয়ে যেতে পারে এই রোগের কারণেই। তাই হাসি হইতে সাবধান।

অ্যাসফিজিয়েশন

হাসতে হাসতে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গিয়ে বা অক্সিজেনের অভাবে শ্বাসরোধ হয়েও মৃত্যু হতে পারে। অতিরিক্ত হাসলে শ্বাসকষ্ট যে হয় তা সকলেরই জানা। কিন্তু এই কষ্ট মাত্রা ছাড়ালেই বিপদ। তবে এই ধরনের মৃত্যু সাধারণত লাফিং গ্যাস বা নাইট্রাস অক্সাইডের ওভারডোজের কারণে হয়ে থাকে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.