সেকি! নারীবাদিরাই পর্ন মুভি দেখেন বেশি
Odd বাংলা ডেস্ক: নারীবাদিরাই পর্ন দেখেন বেশি, কথাটা শুনে হয়তো অনেকেরই আঁতে ঘা লাগতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হল নারীবাদীরাই অন্যদের চেয়ে বেশি হারে পর্ন মুভি এবং অন্যান্য যৌনতা সংক্রান্ত খোলামেলা ভিডিও দেখতে বেশি ভালোবাসেন। অথচ কট্টর নারীবাদীদের তত্ত্ব মতে, পর্নোগ্রাফি হল নারীর প্রতি সহিংসতা এবং লিঙ্গবৈষম্যমূলক ও নারীকে অধীনস্ত রাখার মনোভাব উস্কে দেওয়ার বড় একটি হাতিয়ার। সম্প্রতি এক কৌতুহলোদ্দীপক গবেষণায় এমনটাই প্রমাণিত হয়েছে। গবেষণাটি করেছে কানাডার ওয়েস্টার্ন ওন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা অন্তত একবারের জন্য হলেও পর্ন দেখেছেন তারাই অন্যদের চেয়ে নারীদের প্রতি অনেক বেশি সহানুভুতিশীল ও সমঅধিকারমূলক মনোভাব পোষণ করেন। তারাই নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মক্ষেত্রে নারীর সম অধিকারের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন সবচেয়ে বেশি। গর্ভপাতের প্রতিও নেতিবাচক ধারণা বা দৃষ্টিভঙ্গি কম থাকে এদের মাঝে।
এর আগে দ্য জার্নাল অব সেক্স রিসার্চ-এ প্রকাশিত একটি নিবন্ধ থেকে জানা যায়, ‘কট্টর নারীবাদী তত্ত্ব মতে, পর্নোগ্রাফি পুরুষদের প্রতি নারীদের অধীনস্ততাকে আরো শক্ত-পোক্ত করে। কারণ পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে নারী-পুরুষ উভয়কেই মূলত পুরুষের প্রতি নারীর অধীনস্ততারই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পর্নোগ্রাফিতে নারীকে প্রধানত এবং মূলত একটি যৌন ভোগ্য বস্তুর চেয়ে বেশি কিছু হিসেবে উপস্থাপন করা হয় না। আর এতে নারীকে এমনভাবেই উপস্থাপন করা হয় যে তার উপর পুরুষের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকাটাই যেন স্বাভাবিক।’
কিন্তু পর্নোগ্রাফি সম্পর্কে কট্টর নারীবাদীদের এই ধারণার সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্রই যেন উঠে আসল ওয়েস্টার্ন ওন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ওই গবেষণায়। এতে গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, যারা পর্নোগ্রাফি দেখেন তারা নারীদের প্রতি অন্যদের চেয়ে বেশি লিঙ্গ বৈষম্যমূলক মনোভাব পোষণ তো করেনই না বরং উল্টো অনেক বেশি সহানুভুতিমুলক মনোভাবই লালন করেন।
ফলে ‘পর্নোগ্রাফি ‘নারীর প্রতি ঘৃণামূলক আদর্শ’ প্রচারের কার্যকর হাতিয়ার’- কট্টর নারীবাদীদের এই ধারণা উক্ত গবেষণায় হালে পানি পাচ্ছে না।
ওই গবেষণায় ১৯৭৫ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে পরিচালিত আমেরিকার ‘সাধারণ সামাজিক জরিপ’ সমুহের মাধ্যমে গৃহীত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হয়। এসব জরিপে আমেরিকান নাগরিকদেরকে লিঙ্গসমতা ও পর্নোগ্রাফি উপভোগসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ইস্যুতে তাদের ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি কী সে ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়।
এছাড়াও ওয়েস্টার্ন ওন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণায় ১০ হাজার ৯৪৬ জন পুরুষ ও ১৪ হাজার ১০১ জন নারীকে পর্নোগ্রাফির ব্যবহার ও লিঙ্গ বৈষম্য বিষয়ক একগাদা প্রশ্ন করার মাধ্যমে আলাদা একটি জরিপ চালানো হয়।
এই জরিপেও পর্নোগ্রাফির ব্যাপারে কট্টর নারীবাদীদের যে ধারণা তার সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্রই উঠে এসেছে। আরো বেশ কয়েকটি গবেষণামূলক অনুসন্ধানে যেমনটা দেখা গেছে এতেও একই চিত্র ধরা পড়েছে। অর্থাৎ, যারা পর্নোগ্রাফি উপভোগ করেন তারা অন্যদের চেয়ে বরং একটু বেশিই লিঙ্গ সমতামূলত এবং নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মক্ষেত্রে নারীর সমঅধিকারের বিষয়ে অনেক বেশি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন!
Post a Comment