রক্তে লাল নোয়াই খাল! নেতাজির ৩ হাজার সৈন্যকে পুড়িয়ে মারল ব্রিটিশরা! স্বাধীনতা সহজে আসেনি

বিশেষ প্রতিবেদন: ইংরেজদের চোখরাঙানি। যে চোখরাঙানির গোটা দেশে কেবল আতঙ্ক তৈরি করেছিল তারা। কিন্তু এই চোখরাঙানি যে সহ্য করা যায়। নিজের দেশকে তো এমন অত্যাচারী ব্রিটিশদের হাত থেকে রক্ষা করতেই হবে। তাই শুরু হয় স্বাধীনতার লড়াই। 

যে লড়াইয়ে মৃত্যুভয় দূরে সরিয়ে এগিয়ে যায় বহু বাঙালি। চোখে চোখ রেখে লড়াই করার অঙ্গিকার করে তারা। আর এই লড়াইতেই ঝড়েছিল অনেক রক্ত। নিঃস্ব হয়েছিল মায়ের কোল। অনেক ইতিহাস আমাদের জানা। আবার অনেক কিছুই যে রয়ে গিয়েছে অগোচরে। 

তেমনই এক ঘটনা হল নীলগঞ্জের নারকীয় হত্যালীলা। তিন হাজার আজাদ হিন্দ সৈন্যের মৃত্যুর এই ঘটনা কিন্তু অনেকটাই অপ্রকাশিতই রয়েই গেছে।  

ব্যারাকপুরের কাছেই বিস্তীর্ণ অঞ্চল এই নীলগঞ্জ। সালটা ১৯৪৫। আজাদ হিন্দ বাহিনীর সৈন্যরা তখন বন্দী। অকথ্য অত্যাচার চলত তাদের ওপর। প্রশ্ন একটাই, সুভাষচন্দ্র বসু কোথায়?

১৯৪৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর। মধ্যরাত সবেমাত্র পেরিয়েছে। নীলগঞ্জের ডেরায় একটা খাঁচায় বন্দি প্রায় তিন হাজার আজাদ হিন্দ সৈন্য। হঠাৎ, ব্রিটিশ পুলিশ এসে হাজির। এরপর কী হল, তা আজও অজানা। শুধু সেই সময় আশেপাশের অঞ্চলে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা রাতদুপুরে শুনতে পান একটানা গুলির আওয়াজ। তারপর...

পরেরদিন যখন বাসিন্দারা যান ওখানে।  সেখানকার দৃশ্য দেখে তারা শিহরিত। পাশেই বয়ে যাচ্ছিল নোয়াই খাল। রাতারাতি রং বদলে খালের জল হয়ে গেছে লাল! চারিদিকে ধোঁয়া; সঙ্গে পোড়া গন্ধ। মানুষ পোড়ার! ছড়িয়ে ছিটিয়ে সৈনিকদের ছিন্নভিন্ন দেহ। প্রস্তুতি চলছে এই নারকীয় ঘটনার সমস্ত নিদর্শন মিটিয়ে দেওয়ার।

তবে এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসেনি সেভাবে। নানাভাবে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু কেন? উত্তর, অজানা! নেতাজির আজাদ হিন্দ বাহিনী ভারতের ইতিহাসে একটি চিরস্মরণীয় নাম। কিন্তু নীলগঞ্জের এই হত্যালীলা নিয়ে  আজকের ইতিহাস বই চুপ!

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.