রতন টাটার জীবনে প্রেম একবারই এসেছিল, জাুনন, কিন্তু কেন বিয়ে করলেন না তিনি?

Odd বাংলা ডেস্ক: একজন আদর্শ সুপুরুষের পাশাপাশি একজন সফল শিল্পপতি রতন টাটা। এখন তার বয়স ৮৩! তিনি চাইলে যৌবনে যেকোনো অভিনেতাকে টেক্কা দিতে পারতেন। তবুও কেন অবিবাহিত রয়ে গেলেন তিনি? হ্যাঁ তারও জীবনে প্রেম এসেছিল একবার।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ‘জীবনে একবারই তিনি প্রেমে পড়েছিলেন এবং বিয়ের পিঁড়িতে বসার আয়োজনও প্রায় হয়ে গিয়েছিল।” কিন্তু কি হয়েছিল এরপর..   

রতন নাভাল টাটার জন্ম ২৮ শে ডিসেম্বর ১৯৩৭ সাল গুজরাটের সুরাট শহরে। শৈশবেই তার মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর তিনি বেড়ে ওঠেন ঠাকুমার কাছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গ্রীষ্মের ছুটিতে লন্ডনে গিয়েছিলেন তার ঠাকুরমার সাথে। আর সেখানেই তার হাতেই তৈরি হয়েছিলেন ভারতবর্ষের সবচেয়ে সফল ব্যবসায়ীর মূল্যবোধ। ঠাকুরমা শিখিয়েছিলেন, “সবকিছুর ঊর্ধ্বে মর্যাদাবোধ।” যা এখনও তিনি হৃদয়ে গেঁথে রেখেছেন।  

এরপর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্কিটেকচারে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে দুই বছর কাজও করেছিলেন। আর সেখানেই তার জীবনে এসেছিল প্রথম প্রেম।

রতন টাটা জানিয়েছেন, তার জীবনের সেই সময়গুলি খুবই সুন্দর ছিল। মার্কিন শহরের সুন্দর আবহাওয়া, সেইসাথে ভালো চাকরি এবং নিজস্ব একটি গাড়িও ছিল।

মার্কিন কন্যার সাথে বিয়ের আয়োজনও হয়ে গিয়েছিল প্রায়। কিন্তু সেই সময়ে তার ঠাকুমার প্রচন্ড শরীর খারাপ হয়, তাই তাকে দেশে ফিরে আসতে হয়েছিল।  

তাদের সম্পর্কে নিয়ে ওই মার্কিন কন্যার পরিবারের কোনো দ্বিমত ছিল না। রতন টাটাকে তার প্রেমিকা জানিয়েছিলেন, তিনি ভারতে চলে আসার কিছুদিন পরেই তিনিও চলে আসবেন। আর এই দেশেই পাতবেন তাদের সংসার।

কিন্তু এরই মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধ। আর এই যুদ্ধের জেরেই ওই মেয়েটির বাবা-মা তাকে ভারতে আসতে দিতে রাজি হয়নি। আর এভাবেই তাদের সুন্দর সম্পর্কটি শেষ হয়ে যায়। চিরকাল অবিবাহিতই থেকে যান ভারতের সফল ব্যবসায়ী।

এরপর ব্যবসায়িক ও সামাজিক জীবনে প্রচুর যশ, সাফল্য অর্জন করেছেন। ১৯৯১ সালে তিনি টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান হন। ‘পদ্মভূষণ’ ‘পদ্মবিভূষণ’ এর মত বিরল সম্মানও পেয়েছেন। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে জীবনে অনেক সাফল্য অর্জন করলেও, প্রেম বা বিয়ে — আর কোনটাই হয়ে ওঠেনি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.