টাকা-পয়সা, গয়না, সম্পত্তি হাতানোর লোভে ৮ জন বৃদ্ধকে বিয়ে করলেন মহিলা! তারপর...

Odd বাংলা ডেস্ক: সমাজের শুধুমাত্র নারীরা প্র’তারিত হয় তা কিন্তু নয়,বর্তমানে আমরা সচরাচর অনেক খবর  শুনতে পাই যেখান থেকে আমরা জানতে পারি যে বিভিন্ন সময়ে পুরুষেরাও প্রতা’রিত হয় স্ত্রীর হাতে। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে গাজিয়াবাদে। অভিযু’ক্ত মহিলার উদ্দেশ্য ছিল বৃদ্ধ মানুষদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে আ’বদ্ধ হয়ে তাদের ভরসা জয় করা। শে’ষ পর্যন্ত বয়স্ক মানুষ গু’লোর বিশ্বাস এবং ভরসা আদায় করে তাদের সমস্ত সম্পত্তি লু’ট করে সেখান থেকে পা’লিয়ে যাওয়া।

সিনেমার কায়দায় এইভাবে একের পর এক বয়স্ক মানুষকে নিজের প্রেমের ফাঁ’দে খেলছিল এই দুলহান। বিগত ১০ বছর ধরে তার এই সাজানো নাটকের শি’কার হয়েছিল একের পর এক বয়স্ক মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই জীবনের সায়াহ্নে এসে তারা মনের মতো সঙ্গী খুঁজে নিতে চান। কোন বৃদ্ধ হয়তো অববাহিত, কোন বৃদ্ধ হয়তো ডিভোর্সি, আবার কেউ হয়তো স্ত্রীকে হা’রিয়েছেন কিছুদিন আগে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে,এই সমস্ত বৃদ্ধকে নিজের ভালোবাসার জালে জ’ড়িয়ে তাদের সঙ্গে বসবাস শুরু করতো এই মহিলা। এরপর কোন একদিন সুযোগ বুঝে বাড়ি থেকে সোনাদানা টাকা ঋণ নিয়ে সেখান থেকে চম্পট দিত।সম্প্রতি গাজিয়াবাদের এক বিল্ডিং ঠিকাদার কে বিয়ে করে সে। এরপর সেখান থেকে ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে পা’লিয়ে যায় সেই মহিলা।যুগলকিশোর নামের ওই ব্যক্তি খান্না বিবাহ কেন্দ্র নামে একটি ম্যাট্রিমোনিয়াল সংস্থার বিজ্ঞাপন দেখে এই মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।

বিজ্ঞাপন দেখে মনিকা নামের এই মহিলাকে তার কাছে পাঠায় ওই সংস্থা। মনিকা তাকে জানায়যে, সে একজন ডিভোর্সি।মনিকাকে ভালোলাগায় কিশোর তাকে বিয়ে করে নেয়। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরেই কিশোরের থেকে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে সেখান থেকে পা’লিয়ে যায় মনিকা।এর পরেই সেই বি’বাহ অফিসে কথা বলেন কিশোর।তাদেরকে হু’মকি দেন যাতে তারা তার টাকা ফেরত দিয়ে দেয়।

সেখান থেকেই কিশোরগঞ্জ করেন মনিকার আগে স্বামীর, যাকে বোকা বানিয়ে মনিকা টাকা-পয়সা নিয়ে পা’লিয়ে যায়।এরপরে কিশোর এবং তার আগের স্বামী দুজনে মিলে যায় পু’লিশের কাছে। তাড়াতাড়ি সবকিছু শুনে মনিকাকে গ্রে’ফতার করে পু’লিশ। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.