সিনেমার সঙ্গে যেভাবে জড়িয়ে গেলো কাস্টিং কাউচ ও শরীরি ব্যবসা


Odd বাংলা ডেস্ক: সিনেমা পত্রিকা প্রসাদের একটা সংখ্যায় একবার ছায়া দেবী বলেছিলেন যে সমাজে সিনেমার মেয়েদের খুব নিচু দৃষ্টিতে দেখা হয়। পুরুষদের ক্ষেত্রে কিন্তু তেমনটা ছিল না। অথচ সিনেমায় নায়িকার উপস্থিতি কিন্তু প্রয়োজন। না হলে সেই সিনেমা বক্স অফিসে কামাল দেখাতে পারবে না। 

শিল্পের সঙ্গে যৌনতা ও নারীদেহের সম্পর্ক চিরদিন রয়েছে। সেটা অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু সেই ঘটনা যদি চুক্তিতে পরিনত হয় তা খুবই লজ্জার। শিল্প জগতকে কলুষিত করার জন্য এই একটা দোষই কিন্তু কাফি। প্রায় প্রত্যেক দেশেই শো-বিজের সঙ্গে জড়িয়ে আছে "কাস্টিং কাউচ" কথাটি। কিন্তু ভারতে এর আমদানি মূলত ৫০-এর দশকে।  আঞ্চলিক ভাষার সিনেমায় এই ধরনের ঘটনার ইতিহাস তেমন উঠে আসেনি। কারনটা হয়তো সেসময়ের পত্র-পত্রিকায় এই বিষয়গুলি জায়গা করে নিতে পারে নি। কিন্ত বলিউডে খুব প্রথম থেকেই এই ধরনের অভিযোগ এসেছে। 

অভিনেত্রী শশীকলা প্রথম কাস্টিং কাউচের অভিযোগ করেছিলেন, Image Source: Google

১৯৭২ সালে দেওয়া স্টার ডাস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী শশীকলা জানিয়েছিলেন বলিউডের এক পরিচালক তাঁকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই পরিচালক নাম অবশ্য তিনি কোনোদিনও প্রকাশ করেন নি। 

প্রিয়া রাজবংশের অভিযোগ ছিল চেতন আনন্দের বিরুদ্ধে, পরে তাঁকে বিয়ে করেন চেতন, Image Source: Google

বলিউডের আরেক অভিনেত্রী প্রিয়া রাজবংশের বিষয়টা অবশ্য অন্যরকম।তিনি যাঁর বিরুদ্ধে  অভিযোগ করেছিলেন পরে সেই পরিচালক তাঁকে বিয়ে করেন। কিন্তু ওই যে মুখের কথা বন্দুকের গুলির মতো। সেসময়ের বিখ্যাত সিনেমা পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়া রাজবংশ অভিযোগ করেছিলেন তাঁকে চেতন আনন্দ নানা ভাবে সিনেমার সেটে উত্তক্ত করেন। এমনকি তাঁকে নিয়ে হোটেলের রুমেও যেতে চেয়েছেন পরিচালক।

বাকি আরও ঘটনা আমরা জানি। শশী কাপুরের বিরুদ্ধে করা স্টিং অপারেশনও আমরা দেখেছি। কিন্তু ভারতীয় সিনেমাতে এই ধরনের ঘটনা সিনেমার প্রতি আজও বহু মানুষের দৃষ্টি ভঙ্গিকে উন্নত হতে দেয়নি। 



Pareon-Image
Blogger দ্বারা পরিচালিত.